কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের করোনার টিকা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া। একই সঙ্গে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ ধর্মীয় স্থাপন নির্মাণের সুযোগ শর্তমুক্ত রাখা এবং কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা। 

সোমবার এর সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসানে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।

মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, কবরস্থান, শ্মশানসহ ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণে অনুমতি নিতে হবে এবং উদ্যোক্তাকে আয়ের উৎস জানাতে হবে- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের খসড়া নীতিমালায় এ প্রস্তাব করা হয়েছে। একে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে হাইআতুল উলয়া।

খসড়া প্রস্তাবটি রোববার সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উত্থাপন করা হয়। হাইআতুল উলয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালা কার্যকর হলে নতুন মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পথ চরমভাবে সংকুচিত করবে। প্রস্তাবিত নীতিমালাটি মুসলমানসহ সব ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে- যা বিশৃঙ্খলার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। নীতিমালাটি কোরান, হাদিস, দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতি এবং ২০১৮ সালের আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া আইনের পরিপন্থী।

করোনার কারণে বন্ধ থাকা মাদ্রাসা খুলে দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে হাইয়াতুল উলায়া বলেছে, মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় বহু এতিম-গরীব ছাত্র অনাহারে কষ্ট পাচ্ছে। বহু শিক্ষার্থী ঝরে যাচ্ছে। হেফজখানা ও মক্তবের ছাত্রদের কোরান শিক্ষা, জিকির, দোয়া সব বন্ধ রয়েছে। তাদের শিক্ষাজীবন রক্ষায় মাদ্রাসা খুলে দেওয়া জরুরি। 

একই সঙ্গে গ্রেপ্তার আলেম-উলামা ও মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে স্থায়ী কমিটি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবদুল হামীদ, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী প্রমুখ।