- বাংলাদেশ
- রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ
রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এফএম আলী হায়দারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নগরীর মতিহার থানায় অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্সের অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান। তার বিরুদ্ধে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এফএম আলী হায়দার ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ওই ইনস্টিটিউটে দুই বছরের জন্য গভর্নিং বডির পরিচালক হিসেবে (অবৈতনিক) দায়িত্ব পান।
মতিহার থানার ওসি আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, গত মঙ্গলবার মামলার জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি অভিযোগ আকারে নেওয়া হয়েছে। মামলা এখনও রেকর্ড হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এতে ওই শিক্ষক ছাড়া আরও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, মঙ্গলবার ড. এফএম আলী হায়দার ও নাটোরের সিংড়ার মুকুল নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে চার-পাঁচজন বহিরাগত ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে পরিচালনা পর্ষদের সভায় অনধিকার প্রবেশ করেন। পরিচালনা পর্ষদের রেজুলেশন বইসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিনিয়ে নেন তারা। এতে বাধা দিলে তারা ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের সামনেই অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমানকে মারধর করেন এবং হত্যার হুমকি দেন। বাদী হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ড. আলী হায়দারকে অবৈতনিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পরও তিনি প্রতি মাসে ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা করে বেতন তুলেছেন।\হতবে অভিযুক্ত আলী হায়দার বলছেন, ব্যবসায়িক পার্টনারশিপের ঝামেলা থেকে তার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমি ওই প্রতিষ্ঠানের পার্টনার। এতে ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ রয়েছে। হাফিজুর রহমানের মালিকানা রয়েছে ২০ শতাংশ। তিনি নানা অনিয়ম করে প্রতিষ্ঠানের টাকা নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে জমা রেখেছেন। পরিচালনা পর্ষদের সভায় তার এসব অনিয়ম নিয়ে কথা বলার সময় কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাফিজুর রহমানই আমাকে ধাক্কা দেন। তারপর আমিও তাকে ধাক্কা দিয়েছি।
বেতন নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি কখনও বেতন নেইনি। তিনি মিথ্যাচার করছেন। টাকা নিয়েছি তার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবে না।
মন্তব্য করুন