পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, কাবুলে আরও ১০ বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে তিনজন উন্নয়নকর্মী। বাকি সাতজন ফিরতে চান না। তারা কাবুলেই থেকে যেতে চেয়েছেন। কেন তারা সেখানে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন, সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। সেখানে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। এর আগে তালেবান বলেছিল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারটি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। যেমন সরকারে নারীর অংশগ্রহণ থাকবে। তবে সেটা এখনও দেখা যায়নি। এর আগে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই তাদের নিষিদ্ধ করেছিল, সেই তালেবানকে নিয়ে বিশ্বের নতুন করে আগ্রহের কারণ ছিল- এবার তালেবান পরিবর্তিত চেহারায় আসছে এমন বার্তা দিয়েছিল। সেই বার্তার প্রতিফলন কতটা হয় সেটা এখনও দেখার বাকি আছে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের একটা আদর্শিক অবস্থান আছে। সেই অবস্থানের বিষয়ে আমরা আপস করব না। এ কারণে আফগানিস্তানে নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ তাড়াহুড়া করবে না। একটা স্থায়ী সরকার গঠিত হলে সেটা কীভাবে গঠিত হয়, তাও পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর পুরো পরিস্থিতি বিচার-বিশ্নেষণ করে একটা সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ। এর আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে 'স্বীকৃতি' প্রশ্নে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, জাতিসংঘ আফগানিস্তানে শান্তির জন্য তালেবানের সঙ্গে যদি কোনো সংলাপে যায় কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি সেখানে অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য কোনো সংলাপের আয়োজন করে, সেসব সংলাপে অংশ নেবে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ নীতিগতভাবে চায় আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক এবং কোনো ধরনের যুদ্ধ পরিস্থিতি না থাকুক।