- বাংলাদেশ
- সিআইডির এক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
'ঘুষের' একটি অডিও- নেপথ্যে কী
সিআইডির এক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

ডাকাতি-ছিনতাইয়ে জড়িত অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এসআই মো. আকসাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার সকালে রংপুরের মিঠাপুকুর থানার শঠিবাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। পরে তাকে নিয়ে আসা হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
'ঘুষের একটি অডিও- নেপথ্যে কী' শিরোনামে বুধবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সিআইডির বরখাস্ত হওয়া এসআই আকসাদুজ্জামানের একটি বক্তব্য রয়েছে। তার দাবি, ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতদের ছাড়িয়ে নিতে ডিবি কর্মকর্তাকে এক কোটি ২৮ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার সমন্বয় করেন তিনি। পরে আরও ১৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়।
ডিবির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বিমানবন্দর থানার একটি ডাকাতির মামলায় সিআইডির ওই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি-ছিনতাইকারী চক্রের হোতা ছিলেন তিনি। এর আগে গ্রেপ্তার এক আসামি আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তার নাম বলেছেন। এ ছাড়া সিআইডির এক গাড়িচালকও সাক্ষী হিসেবে ছিনতাই-ডাকাতিতে তার সম্পৃক্ততার বিবরণ দিয়েছেন।
এর আগে ডিবির এক কর্মকর্তাকে এক কোটি ৪২ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছে- এমন একটি কথোপকথনের অডিওর ভিত্তিতে তথ্যানুসন্ধান করে সমকাল। ওই অডিওতে এক নারী বলছেন, 'এক কোটি ২৮ লাখ তো নিছেন আপনারা সবাই, আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে ১৪ লাখ দিছি না?' অপর প্রান্তে থাকা পুরুষ কণ্ঠও টাকা কোনো এক স্যারকে দেওয়ার কথা বলছেন। পরে জানা যায়, নারী কণ্ঠটি এসআই আকসাদুজ্জামানের স্ত্রী তহমিনা আক্তারের। ওই কর্মকর্তা নিজেই সমকালের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার দাবি, অপর প্রান্তের কণ্ঠটি ডিবির উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার কায়সার রিজভী কোরায়েশীর। অবশ্য ডিবির এই কর্মকর্তা বলেছেন, অডিওটি বানোয়াট, কণ্ঠ তার নয়।
ডিবির তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা বলছেন, গত বছরের ১৯ অক্টোবর সকালে বিমানবন্দর সড়কের কাওলায় দুবাই প্রবাসী রোমান মিয়া ও তার ফুফাতো ভাই মনির হোসেনকে ডিবি পরিচয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়। পরে তাদের মারধর করে সঙ্গে থাকা মার্কিন ডলার, দিরহাম, মোবাইল ফোন, কাপড়ভর্তি লাগেজসহ চার লাখ ৭৮ হাজার টাকার মালপত্র কেড়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, আকসাদুজ্জামান ছিলেন ওই চক্রের প্রধান। বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এর আগে তার চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন