- বাংলাদেশ
- বিরোধিতার মধ্যেই দায়মুক্তির মেয়াদ বাড়ল কুইক রেন্টালের
বিরোধিতার মধ্যেই দায়মুক্তির মেয়াদ বাড়ল কুইক রেন্টালের

বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন
জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে এক দশক আগে দেশে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর দায়মুক্তি সম্পর্কিত বিশেষ আইন পাস হয়েছিল। এর মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে বৃহস্পতিবার সংসদে বিল পাস হয়েছে। বিলটি পাসের বিরোধিতা করেছেন বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১' সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এক দিন আগে বুধবার বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়। বিলটি পাসের সময় বিরোধী সদস্যদের অভিযোগের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতেই এই বিলটি আনা হয়েছে। বিলটি পাসের আগে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা বলেন, জনগণের করের টাকা অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এই আইন করা হচ্ছে। তারা বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে বিলটি তড়িঘড়ি করে পাস করা হয়েছে।
বিএনপির হারুনুর রশিদ বলেন, আরও পাঁচ বছর কেন বাড়ানো হচ্ছে। রূপপুর, মাতারবাড়িতে বড় প্রকল্প করছি। ঋণের বোঝা বাড়ছে। এভাবে চললে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। এই আইন করে আমরা অনিয়ম-দুর্নীতির বৈধতা দিচ্ছি। বিশেষ বিধান এভাবে বছরের পর বছর চলতে পারে না। গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, এই আইন একটি জঘন্য কালো আইন। এখানে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু নিজের এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এলাকায় বিদ্যুৎ পাই না। চৈত্র, বৈশাখ, ভাদ্র মাসে মানুষ ঘুমাতে পারে না। এলাকায় ৪-৫ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। জোরে বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ যায়। বাতাস হলে বিদ্যুৎ যায়। আমাদের বাঁচান। আইনের এপটেনশন দরকার নেই। বিদ্যুৎ দিন। তিনি বলেন, আপনারা বলছেন ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। অর্ধেক ব্যবহার হয়। সঞ্চালন লাইন নেই।
জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এলাকায় বিদ্যুৎ আসে না যায়, বোঝা যায় না। আমাদের জবাবদিহি করতে হচ্ছে। বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, মন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। এই আইনে কিছু মানুষের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বড় বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিকল্পিতভাবে অচল করে রাখা হচ্ছে। পীর ফজলুর রহমান বলেন, কুইক রেন্টাল ব্যয়বহুল। কেন এটা করা হচ্ছে। সঞ্চালন লাইনে কেন নজর দেওয়া হচ্ছে না।
এসব অভিযোগের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিলটি নতুন নয়। শুধু সময় বাড়ানো হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য এই আইন। তিনি বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে ঢাকার বিদ্যুৎ লাইন আন্ডারগ্রাউন্ডে যাবে। সিলেটে যাবে, খুলনায়ও যাবে।
মন্তব্য করুন