- বাংলাদেশ
- ডা. জাফরুল্লাহর করা রিটের শুনানিতে অপারগতা হাইকোর্টের
ডা. জাফরুল্লাহর করা রিটের শুনানিতে অপারগতা হাইকোর্টের

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে দায়ের করা এক রিট মামলা শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার ওই রিটের শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে ড. জাফরুল্লাহ চাইলে হাইকোর্টের অন্য কোনো বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য দাখিল করতে পারবেন।
আদালতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম।
রিটের সূত্রে জানা যায়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি ছিল। ২০২১ সালে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, সেখানে ৫০ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা যাবে না। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। তখন মাত্র ১০ জন বাড়ানো হয়। ১১০ জনের জায়গায় ৬০ জন ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ডা. জাফরুল্লাহ। মঙ্গলবার ওই রিট আবেদনটি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃতৃবাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হলে তা শুনানি না করে ফেরত দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে পুরনো একটি ঘটনার সুত্র ধরে হাইকোর্ট বলেন, যেহেতু জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব আমাদের বেঞ্চের প্রশংসা করেছেন, তাই এ রিট মামলা অন্য বেঞ্চে হওয়াই ভালো। যদি আমাদের বেঞ্চ থেকে একটি অর্ডার হয়, তাহলে অন্য কেউ বিরূপ মন্তব্য করতে পারেন। তাই আপনারা (রিটকারী পক্ষ) রিটটি অন্য বেঞ্চে শুনানি করুন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সমালোচনা করার পাশাপাশি হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের প্রশংসা করেন।
ডা.জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের যে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুণী ও সজ্জন বিচারপতি হলেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। সবচেয়ে খারাপ হচ্ছেন এ বি এম খায়রুল হক।’ এরই ধারাবাহিকতায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার তার রিটের শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন