মাদক মামলায় মডেল মরিয়ম আক্তার মৌ’য়ের জামিনের বিষয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হয়েছে। আদেশের পর্যবেক্ষণে এই মামলায় মৌকে তিন দফায় ৯ দিন রিমান্ডে নেওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, রিমান্ডের  ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও বিদ্যমান আইন অনুসরণ না করা ন্যায়বিচার এবং সুষ্ঠু তদন্তের বিপরীত। অপ্রয়োজনীয় রিমান্ড করদাতাদের অর্থের অপচয়ের পাশাপাশি বিচারিক সময়ও নষ্ট করে।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২২ সেপ্টেম্বর এই আদেশ দেন। সেদিন মৌকে এই মামলায় শর্তসাপেক্ষে এক বছরের জামিন দেওয়া হয়। বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর গত সপ্তাহে ওই আদেশের লিখিত কপি প্রকাশিত হয়। 

আদেশে হাইকোর্ট আরও বলেন, নারী এবং কোনো ব্যক্তির প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত দেওয়ার সময় আদালতের (বিচারিক আদালত) অতিসতর্ক থাকা উচিত, যাতে কারাগারে গিয়ে ধূর্ত অপরাধীদের সঙ্গে মিশে অভ্যাসগত অপরাধী হওয়ার পরিবর্তে তিনি নিজেকে পরিবর্তনের সুযোগ পান। এক্ষেত্রে অপরাধের গুরুত্ব ও প্রকৃতি অনুসারে মনে করি না যে এই মামলায় আসামিকে (মডেল মরিয়ম) তিন দফায় ৯ দিন রিমান্ড নেওয়ার  কোনো প্রয়োজন ছিল।

গত ১ আগস্ট রাতে মরিয়ম আক্তার মৌয়ের রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। এই মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন নাকচ হলে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। ২২ সেপ্টেম্বর তাকে জামিন দেন। তিনি এখন কারামুক্ত।

এর আগে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আরেকটি মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে তিন দফায় সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার ঘটনায়ও উষ্মা প্রকাশ করেন। সংশ্লিষ্ট দুই বিচারককে এ বিষয়ে দ্বিতীয় দফায় লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ২৪ অক্টোবর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।