ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিশেষ অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে এই টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ঢাকার সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই টিকা প্রদান কার্যক্রম আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকা (দ্বিতীয় ডোজ) আগামী ১ নভেম্বর থেকে দেওয়া হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হেলথ্ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, টিকা প্রদান কার্যক্রমের সমন্বয়ক ড. মো. আব্দুল মুহিত, প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. সারওয়ার জাহান মুক্তাফী, ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে টিকা প্রদান কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্রুত টিকার আওতায় আনার ক্ষেত্রে এই অস্থায়ী ক্যাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলকে শতভাগ টিকার আওতায় এনে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক, ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটের সদস্যগণ এই টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। ক্যাম্পে শুধুমাত্র সিনোফার্ম (ভেরোসেল) টিকা দেওয়া হবে। এই ক্যাম্পে প্রথম টিকা গ্রহণকারী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রুবেল দাস। টিকা গ্রহণের বিস্তারিত তথ্য ও শর্তাবলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.du.ac.bd থেকে জানা যাবে।