- বাংলাদেশ
- বিজ্ঞান বক্তা আসিফের ‘ফেসবুক যুগে মহাজাগতিক চিন্তা’
বিজ্ঞান বক্তা আসিফের ‘ফেসবুক যুগে মহাজাগতিক চিন্তা’

'ফেসবুক যুগে মহাজাগতিক চিন্তা' শীর্ষক বক্তৃতা নিয়ে আসছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞান বক্তা আসিফ।
আগামী ৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টায় এমপ্যাথি ন্যাশন ও প্রারণ্য (প্রাণে অরণ্য আনো) এর আয়োজনে তাদের ফেসবুক পেজে হাজির হবেন আসিফ। আগাম রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এই আয়োজনে অংশ নেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, সম্মানী দিয়ে বিজ্ঞান বক্তৃতা শোনার বিষয়টি আমাদের দেশে সুপ্রলিত ছিল না। বিজ্ঞান বক্তা আসিফ এটিকে জনপ্রিয় করে তোলেন, গড়ে তোলেন ডিসকাশন প্রজেক্ট (discussionproject.org) বিজ্ঞান চিন্তার প্লাটফর্ম।
'ফেসবুক যুগে মহাজাগতিক চিন্তা' আয়োজনে অংশ নেয়ার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া জানতে যুক্ত থাকতে হবে নিচের দুটি লিংকে।
https://www.facebook.com/empathy7com
https://www.facebook.com/arts4empathy
'ফেসবুক যুগে মহাজাগতিক চিন্তা' শীর্ষক বক্তৃতায় যেসব বিষয় নিয়ে আবর্তিত হতে পারে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো
শতাব্দী আরম্ভ হওয়ার আগেই মার্টিন রিজ তার ‘আওয়ার ফাইনাল সেঞ্চুরি' গ্রন্থে, ডেভিদ কোয়েম্যান তার স্পিলওভার (অ্যানিমেল ইনফেকশন এন্ড নেক্সট পেনডামিক ২০১৫) গ্রন্থে আগত এই মহামারীর আশঙ্কার কথা বলেছেন, হিসেব করেই তিনি বলেছেন; আরো নিশ্চয় অনেকে বলেছেন। তাতে মানব সভ্যতা কোন প্রস্তুতিই নেয়নি; উন্নয়নের কোনো কাঠামোই তা বলে না: সে উন্নত বা, অনুন্নত যে বিশ্বই হোক না কেন?
অনেকে বলেন এটা ফেসবুক যুগ। সোস্যাল মিডিয়ার যুগ। ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগ। প্রাচিন মানুষদের নিঃসঙ্গতা ঘোচানোর এক সূযোগ। অথচ কী পরিহাস, এতসব আয়োজনেও, শিকারী সময়ের যে একাকিত্ব মানুষকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াতো, তাকেই আমরা আবার ডেকে আনছি?
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
জীবাশ্মজ্বালানী থেকে বের হয়ে আসা হচ্ছে পৃথিবীর মানুষের টিকে থাকার জন্য একটা নবযাত্রা; এর জন্য সৌরশক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবে মনে করা হয়েছিল। সোলার ইকোনোমি গ্রন্থের লেখক হারম্যান শিয়ারের মতো অনেকেই এর সমর্থনে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন। অনেক আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা পত্রিকাই ব্যপকভাবে সৌরশক্তির ব্যবহারের সম্ভবনাকে দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লবের দ্বার প্রান্তে রয়েছে বলে অভিহিত করলো। মাত্র ২০ বছরের মধ্যে সেসব ভুলে হঠাৎ করেই চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বাবা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জয়গান শুরু করলো কেন?
গুহামানবদের ছবি আকার কর্মকাণ্ড থেকে বুঝতে পারি, মানুষ তার রাতের স্বল্প অবসরে দিনের সম্পন্ন করে আসা কাজের পর্যােলোচনা, অনাগত ভবিষ্যতের সংযোগ আর বিমূর্ত জাল বিস্তারে নিজেদেরকে নিয়োজিত করেছিল, সঙ্গীত তাকে ছন্দময় রূপ দিয়েছিল, সেখান থেকে মানুষ মারাত্মক লাভক্ষতির মরণখেলায় কেন নিয়োজিত হলো?
অনেকে বলে থাকেন এটাতো বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞানের যুগ হলে কি মানুষ্য নির্মিত জলবায়ু বিপর্যয় হতো। বিজ্ঞানের যুগ হলে কি মাঠহীন ভবিষ্যতের প্রজন্ম বড়ো হতো? বিজ্ঞানের যুগ হলে কি ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস এর প্রনোদনা জোগানো খাবারগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরা হতো?
প্রকৃতপক্ষে এটা হলো বিজ্ঞানের সুবিধা লাভের যুগ। কীভাবে বিজ্ঞানকে না বুঝে ভোগের যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়, তার যুগ। আরও প্রবলভাবে আত্মধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার যুগ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের লাভের মেশিন বানানোর নকশার যুগ। কেন আমরা মানব সম্প্রদায়ের ৩০ লাখ দীর্ঘ অভিযাত্রাকে অনুধাবন করতে পারছি না?
মন্তব্য করুন