- বাংলাদেশ
- বন্ধ পাটকল চালু না করলে বৃহত্তর আন্দোলন
নাগরিক পরিষদের সমাবেশে বক্তারা
বন্ধ পাটকল চালু না করলে বৃহত্তর আন্দোলন

ছবি: ফাইল
পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের নেতারা বলেছেন, পাট ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব, বিজেএমসির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটই দেশের ২৫টি পাটকলের লোকসানের প্রধান কারণ। লোকসানের জন্য এই দুর্নীতিবাজদের বিচারও হয়নি, শাস্তিও পায়নি। অথচ লোকসানের দায়ভার বর্তেছে সাধারণ পাট শ্রমিকদের ওপর। পাটকল বন্ধের ১৬ মাস পূর্ণ হলেও সব শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ হয়নি। সংগত কারণে অভুক্ত শ্রমিকরা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থায় দ্রুত পাটকল চালু, শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ ও মামলা প্রত্যাহার না করলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন (টিইউসি) কার্যালয়ের সামনে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে এক সমাবেশ বক্তারা এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকগুলো আধুনিকায়ন করে ফের চালু, ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন অনুয়ায়ী পাঁচটি পাটকলসহ সব শ্রমিকের বকেয়া পাওনা অবিলম্বে পরিশোধ এবং ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর ফুলতলার ইস্টার্ন জুট মিলগেট থেকে অবরোধ চলাকালে শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব এস এ রশীদ। বক্তব্য দেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলা সমন্বয়ক মিজানুর রহমান বাবু, গণসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) জেলা সভাপতি মোজাম্মেল হক খান, বাসদ নেতা আবদুল করিম, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসেদ আলম শমসের, ছাত্র ফেডারেশনের খুলনা মহানগর আহ্বায়ক আল আমিন শেখ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাটশিল্প অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাত। এ পাটশিল্প দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশি বাজারে প্রসার ঘটাতে পারত। অথচ সরকার দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীর স্বার্থে পাটকল ও পাটশিল্পকে ধ্বংস করে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুট করার ব্যবস্থা করছে।
মন্তব্য করুন