জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে একটি শিশু অধিকার হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জাতীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশি শিশুরা। আগামী মাসে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন কপ২৬ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে শিশুরা জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজন তুলে ধরে জলবায়ু সংকটের সমাধান খুঁজতে আরও বেশি সম্পৃক্ততার জন্য নীতিনির্ধারকদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে আহ্বান জানায়। বুধবার এক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানায় শিশুরা।

২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রথম শিশু জলবায়ু সম্মেলনে 'জলবায়ু ঘোষণাপত্র' প্রণয়ন করা হয়েছিল, যা বুধবার জাতীয় সংসদে একটি অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ অন্যদের কাছে হস্তান্তর করে ১৩ বছরের কাবা কওশিন আরিশার নেতৃত্বে একদল শিশু। এর মূল বার্তা হচ্ছে- যখন গল্গাসগোতে যাবেন, আমাদের বার্তাটি নিয়ে যাবেন। জলবায়ু পরিবর্তন হলো শিশু অধিকারের একটি বিষয়।

ওই সম্মেলনের প্রক্রিয়ায় ১০ লাখের বেশি শিশুকে সম্পৃক্ত করা হয়েছিল। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষাসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়েছে এ ঘোষণাপত্রে। আরিশা বলে, 'জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের টিকে থাকা, কল্যাণ ও ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা আপনাদের অনুরোধ করছি, এ দেশের শিশুদের জন্য এগিয়ে আসুন এবং সংকট মোকাবিলায় আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।'

এ অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডোন ইয়েট বলেন, 'জলবায়ু সংকটের জন্য বাংলাদেশের শিশুরা দায়ী নয়। কিন্তু তারাই এর সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে। এ বিষয়ে সম্মিলিত সংহতির জন্য বাংলাদেশের শিশুরা যে আহ্বান জানিয়েছে, তার পাশে রয়েছে ইউনিসেফ।'