- বাংলাদেশ
- কর্মকর্তাদের গাফিলতির খেসারত দিলেন সেবাপ্রত্যাশীরা
কর্মকর্তাদের গাফিলতির খেসারত দিলেন সেবাপ্রত্যাশীরা
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে 'ভুল মোবাইল নম্বর'

ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) ওয়েবসাইটে পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নাম এবং ছবির পাশে রয়েছে সেলফোন নম্বর- ০১৭৩৩৩৯৩৩০৪। শুধু তিনি নন, সারাদেশের পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সবার নামে বরাদ্দ রয়েছে ০১৭৩৩৩ সিরিয়ালের বিভিন্ন মোবাইল ফোন নম্বর। সেবাপ্রত্যাশীদের এসব নম্বরেই যোগাযোগ করার কথা। তবে পরিচালক সাইদুর রহমানের নামে বরাদ্দ মোবাইল ফোন নম্বরে কল করলে দেখা যায়, সেটি ব্যবহার করছেন জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বাঙ্গালিপাড়ার ইউসুফ আলী!
মোবাইল ফোন নম্বরটি সরকারি ওয়েবসাইটে থাকার সুযোগ ইউসুফ আলী ও তার বন্ধু মো. বিপুল হাতছাড়া করেননি। টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট-সংক্রান্ত সেবা দিতে 'পাসপোর্ট অফিস' খুলে বসেন তারা। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক ও পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দিয়ে তারা দু'জন সেবাপ্রত্যাশী শত শত মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পাসপোর্ট অফিসের ওই পরিচালকের নামে অন্তত এক বছর ধরে এ প্রতারণা চললেও এতদিন বিষয়টি কারও নজরেই আসেনি!
সম্প্রতি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগ প্রতারক চক্রের সদস্য ইউসুফ ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তারের পর বিষয়টি সামনে আসে। এরপর ডিআইপি ওয়েবসাইট থেকে ওই মোবাইল নম্বরটি সরানো হয়। পাসপোর্ট অধিদপ্তর বলছে, পরিচালক সাইদুর রহমানের নামে ভুলবশত ওই মোবাইল নম্বরটি অধিদপ্তরের ওয়েব পোর্টালে দেখানো হয়েছিল। অথচ এমন 'ভুলে' ভোগান্তির পাশাপাশি প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে কয়েক লাখ টাকা খুইয়েছেন সেবাপ্রত্যাশীরা।
পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা ভেবে ওই ফোন নম্বরটিতে কল করে প্রতারণার শিকার একজন সেবাপ্রত্যাশী সমকালকে বলেন, তিনি পাসপোর্ট অফিসের ওয়েব পোর্টাল থেকে পরিচালক সাইদুর রহমানের পরিচিতির সঙ্গে থাকা সেলফোন নম্বরে ফোন দেন। সমস্যার কথা শুনে তাকে ইমুতে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এরপর তিনি তার পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনের জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাকে ২০ হাজার টাকা দিলেও পাসপোর্ট ফিরে পাননি।
করপোরেট সিম যেভাবে খোলাবাজারে :ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান সমকালকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তারা জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে ইউসুফ ও বিপুলকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তারা পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা পরিচয়ে শত শত গ্রাহকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, পাসপোর্ট অফিসের নামে থাকা সিমটি ইউসুফ আলীর নামে নিবন্ধন করা। তিনি দাবি করেছেন, বাজার থেকে বৈধভাবেই তিনি ওই সিমটি কিনেছেন এবং নিজের নামে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করেছেন। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তা সিমটি ব্যবহার না করায় সেটির করপোরেট বরাদ্দ বাতিল হয়ে যায়। এরপর তা খোলা বাজারে বিক্রি হয়। ইউসুফ তা কিনে নেওয়ার পর চালু করলে লোকজন স্যার সম্বোধন করে পাসপোর্ট-সংক্রান্ত সেবা চাইতে থাকেন। তিনি তার বন্ধু বিপুলের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ করেন। এরপর দু'জন মিলে প্রতারণা শুরু করেন। বিশ্বাস স্থাপনের জন্য তারা পাসপোর্টের পরিচালক সাইদুর রহমানের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ইমুসহ বিভিন্ন আইডি খোলেন।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নামে করপোরেট চুক্তির আওতায় থাকা সিমটি খোলা বাজারে গেল কীভাবে, তা জানতে চেয়ে গত রোববার গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করে সমকাল। ফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমিউনিকেশন্স খায়রুল বাসার ফিরতি ই-মেইলে জানান, করপোরেট সেবাগ্রহীতা উল্লেখিত নম্বরটি ২০১৬ সালে রি-রেজিস্ট্রেশন না করায় ২০২০ সালে সরকারি বিধি মোতাবেক নম্বরটি রিসাইকল হয়ে নতুন গ্রাহকের হাতে পৌঁছায়। এ বিষয়টি যথাসময়ে করপোরেট সেবাগ্রহীতাকে জানানো হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে সব ধরনের নিয়ম মেনে চলা হয়েছে।
সিম রি-রেজিস্ট্রেশন ও ব্যবহার না করার পরও সেলফোন নম্বরটি সরকারি ওয়েবসাইটে কীভাবে নিজের নামে দেখানো হলো, তা জানতে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক (বর্তমানে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক) সাইদুর রহমানকে তার ব্যক্তিগত নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠানো হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
যদিও ওই ঘটনায় তার হয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন ডিআইপির সহকারী পরিচালক মো. সাকাওয়াত হোসাইন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালে গ্রামীণফোন থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু করপোরেট সিম কেনা হয়, যা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ব্যবহার করছেন। এসব সিমের মধ্যে পরিচালক সাইদুর রহমানের নামে ০১৭৩৩৩৯৩৩০৪ নম্বরটি ভুলবশত ওয়েব পোর্টালে দেখানো ছিল। সে হিসেবে ওই সিমটি সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রকাশ পেয়ে যায়। বাস্তবে ওই সিমটি সংশ্নিষ্ট পরিচালক ব্যবহার করেননি বা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তা কাউকে ব্যবহার করতেও দেওয়া হয়নি।
যেভাবে প্রতারণা করা হতো :মামলাটির তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা ডিবির ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের এডিসি এসএম রেজাউল হক বলেন, গ্রেপ্তার ইউসুফ আলী একজন মুদি দোকানি। তার বন্ধু মো. বিপুল অটোরিকশা চালক। ইউসুফ ২০২০ সালের দিকে ওই নম্বরের সিমটি কিনে ব্যবহার শুরু করেন। এ সময় তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকার সেবাগ্রহীতাদের ফোন পেতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি পাসপোর্ট সেবা দেওয়ার নামে প্রতারণা করতে শুরু করেন।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ইউসুফ ও বিপুল দ্রুত পাসপোর্ট পাইয়ে দেওয়া, ভুল সংশোধন ও আটকে থাকা পাসপোর্ট ছাড় করানোর কথা বলে দেশের বিভিন্ন এলাকার শত শত মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সাধারণ লোকজন ডিআইপির ওয়েবসাইট থেকে ওই নম্বরটি নিয়ে ফোন দিলেই পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক সাইদুর রহমানের ছবি ও নাম ভেসে উঠত। এতে মানুষ বিশ্বাস করে টাকা দিতেন। টাকা দেওয়ার পরও কাজ না হওয়ায় কয়েকজন তার পরিচয় নিয়ে সন্দেহ করলে তাদের পাসপোর্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে পরিচয় ও নম্বর মিলিয়ে দেখতে বলা হতো। লোকজন সেখানে গিয়েও নাম-পরিচয় নিশ্চিত হতো। এভাবেই ওই দু'জন প্রতারণা করে আসছিল।
মোবাইল ফোন নম্বরটি সরকারি ওয়েবসাইটে থাকার সুযোগ ইউসুফ আলী ও তার বন্ধু মো. বিপুল হাতছাড়া করেননি। টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট-সংক্রান্ত সেবা দিতে 'পাসপোর্ট অফিস' খুলে বসেন তারা। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক ও পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দিয়ে তারা দু'জন সেবাপ্রত্যাশী শত শত মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পাসপোর্ট অফিসের ওই পরিচালকের নামে অন্তত এক বছর ধরে এ প্রতারণা চললেও এতদিন বিষয়টি কারও নজরেই আসেনি!
সম্প্রতি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগ প্রতারক চক্রের সদস্য ইউসুফ ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তারের পর বিষয়টি সামনে আসে। এরপর ডিআইপি ওয়েবসাইট থেকে ওই মোবাইল নম্বরটি সরানো হয়। পাসপোর্ট অধিদপ্তর বলছে, পরিচালক সাইদুর রহমানের নামে ভুলবশত ওই মোবাইল নম্বরটি অধিদপ্তরের ওয়েব পোর্টালে দেখানো হয়েছিল। অথচ এমন 'ভুলে' ভোগান্তির পাশাপাশি প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে কয়েক লাখ টাকা খুইয়েছেন সেবাপ্রত্যাশীরা।
পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা ভেবে ওই ফোন নম্বরটিতে কল করে প্রতারণার শিকার একজন সেবাপ্রত্যাশী সমকালকে বলেন, তিনি পাসপোর্ট অফিসের ওয়েব পোর্টাল থেকে পরিচালক সাইদুর রহমানের পরিচিতির সঙ্গে থাকা সেলফোন নম্বরে ফোন দেন। সমস্যার কথা শুনে তাকে ইমুতে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এরপর তিনি তার পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনের জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাকে ২০ হাজার টাকা দিলেও পাসপোর্ট ফিরে পাননি।
করপোরেট সিম যেভাবে খোলাবাজারে :ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান সমকালকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তারা জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে ইউসুফ ও বিপুলকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তারা পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা পরিচয়ে শত শত গ্রাহকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, পাসপোর্ট অফিসের নামে থাকা সিমটি ইউসুফ আলীর নামে নিবন্ধন করা। তিনি দাবি করেছেন, বাজার থেকে বৈধভাবেই তিনি ওই সিমটি কিনেছেন এবং নিজের নামে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করেছেন। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তা সিমটি ব্যবহার না করায় সেটির করপোরেট বরাদ্দ বাতিল হয়ে যায়। এরপর তা খোলা বাজারে বিক্রি হয়। ইউসুফ তা কিনে নেওয়ার পর চালু করলে লোকজন স্যার সম্বোধন করে পাসপোর্ট-সংক্রান্ত সেবা চাইতে থাকেন। তিনি তার বন্ধু বিপুলের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ করেন। এরপর দু'জন মিলে প্রতারণা শুরু করেন। বিশ্বাস স্থাপনের জন্য তারা পাসপোর্টের পরিচালক সাইদুর রহমানের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ইমুসহ বিভিন্ন আইডি খোলেন।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নামে করপোরেট চুক্তির আওতায় থাকা সিমটি খোলা বাজারে গেল কীভাবে, তা জানতে চেয়ে গত রোববার গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করে সমকাল। ফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমিউনিকেশন্স খায়রুল বাসার ফিরতি ই-মেইলে জানান, করপোরেট সেবাগ্রহীতা উল্লেখিত নম্বরটি ২০১৬ সালে রি-রেজিস্ট্রেশন না করায় ২০২০ সালে সরকারি বিধি মোতাবেক নম্বরটি রিসাইকল হয়ে নতুন গ্রাহকের হাতে পৌঁছায়। এ বিষয়টি যথাসময়ে করপোরেট সেবাগ্রহীতাকে জানানো হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে সব ধরনের নিয়ম মেনে চলা হয়েছে।
সিম রি-রেজিস্ট্রেশন ও ব্যবহার না করার পরও সেলফোন নম্বরটি সরকারি ওয়েবসাইটে কীভাবে নিজের নামে দেখানো হলো, তা জানতে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক (বর্তমানে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক) সাইদুর রহমানকে তার ব্যক্তিগত নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠানো হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
যদিও ওই ঘটনায় তার হয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন ডিআইপির সহকারী পরিচালক মো. সাকাওয়াত হোসাইন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালে গ্রামীণফোন থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু করপোরেট সিম কেনা হয়, যা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ব্যবহার করছেন। এসব সিমের মধ্যে পরিচালক সাইদুর রহমানের নামে ০১৭৩৩৩৯৩৩০৪ নম্বরটি ভুলবশত ওয়েব পোর্টালে দেখানো ছিল। সে হিসেবে ওই সিমটি সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রকাশ পেয়ে যায়। বাস্তবে ওই সিমটি সংশ্নিষ্ট পরিচালক ব্যবহার করেননি বা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তা কাউকে ব্যবহার করতেও দেওয়া হয়নি।
যেভাবে প্রতারণা করা হতো :মামলাটির তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা ডিবির ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের এডিসি এসএম রেজাউল হক বলেন, গ্রেপ্তার ইউসুফ আলী একজন মুদি দোকানি। তার বন্ধু মো. বিপুল অটোরিকশা চালক। ইউসুফ ২০২০ সালের দিকে ওই নম্বরের সিমটি কিনে ব্যবহার শুরু করেন। এ সময় তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকার সেবাগ্রহীতাদের ফোন পেতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি পাসপোর্ট সেবা দেওয়ার নামে প্রতারণা করতে শুরু করেন।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ইউসুফ ও বিপুল দ্রুত পাসপোর্ট পাইয়ে দেওয়া, ভুল সংশোধন ও আটকে থাকা পাসপোর্ট ছাড় করানোর কথা বলে দেশের বিভিন্ন এলাকার শত শত মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সাধারণ লোকজন ডিআইপির ওয়েবসাইট থেকে ওই নম্বরটি নিয়ে ফোন দিলেই পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক সাইদুর রহমানের ছবি ও নাম ভেসে উঠত। এতে মানুষ বিশ্বাস করে টাকা দিতেন। টাকা দেওয়ার পরও কাজ না হওয়ায় কয়েকজন তার পরিচয় নিয়ে সন্দেহ করলে তাদের পাসপোর্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে পরিচয় ও নম্বর মিলিয়ে দেখতে বলা হতো। লোকজন সেখানে গিয়েও নাম-পরিচয় নিশ্চিত হতো। এভাবেই ওই দু'জন প্রতারণা করে আসছিল।
মন্তব্য করুন