জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ শুধু স্বাধীনই হয়নি, তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বেই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুর্নগঠিত হয়েছিল। দেশের রাষ্ট্রকাঠামো, সংবিধান, পররাষ্ট্র নীতিসহ সব কিছুইতে বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আর্দশের প্রতিফলন ঘটেছে। 

মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল পূর্বাণী'তে 'বঙ্গবন্ধু : বাংলাদেশ উন্নয়ন ভাবনা' শীর্ষক গবেষণাগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসবে বক্তারা এসব কথা বলেন। গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। 

তাকি জোবায়ের রচিত গবেষণাগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে জয়তী প্রকাশনী। এক হাজার ১৬ পৃষ্টার এই গ্রন্থটিতে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র  পরিচালনাসহ নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

শিশু সাহিত্যিক আনজীর লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মো. কাবেদুল ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ শামস- উল ইসলাম, রুপালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী, লেখক ও গবেষক ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার, কবি সৌমিত্র দেব প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেবল ক্যারিশম্যাটিক নেতাই ছিলেন না, তিনি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রশাসকও ছিলেন। বঙ্গবন্ধু স্বল্প সময়ের মধ্যে পৃথিবীর অন্যতম সেরা সংবিধান প্রণয়ন করেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের পাশাপাশি গবেষণা, এমনকি প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনের জন্যও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শুধু দেশ স্বাধীনই করেননি, দেশ কীভাবে চললে উন্নত ও মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে তার পরিপুর্ণ দিকনির্দেশনাও দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই আরও উন্নত হত।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাসন ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়ে আরও গবেষণা করতে গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী।