ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো, ফরিদুল হক খান বলেছেন, আন্তঃব্যক্তিক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতি সুসংহত করতে হবে। এ জন্য ধর্মীয় শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আরও বেশি মনোযোগী হয়ে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি নিতে হবে।

রোববার সকালে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ মিডিয়া অ্যান্ড প্রেস আয়োজিত ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সচিবালয়ে নিজের অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার মূলনীতি যুক্ত করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আদর্শ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তখনই একটি অশুভ শক্তি বাংলাদেশের সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও শারদীয় দুর্গোৎসব যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছিল। এবারও সারাদেশে ৩২ হাজার ১১৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়, যা গত বছরের তুলনায় এক হাজার ৯০৫টি বা ৬ শতাংশ বেশি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, একটি অশুভ শক্তি গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের একটি অস্থায়ী মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে দিয়ে দেশে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার আলোকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলো যথাযথভাবে সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বাড়িঘর নির্মাণসহ উপযুক্ত পুনর্বাসন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়া লেবার পার্টির এমপি ও শ্যাডো মাল্টিকালচারাল মন্ত্রী স্টিভ ক্যাম্পার ও এমপি আনুলাক চান্ডিভং।