বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বর্তমানে এটি দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ধীরে ধীরে এই লঘুচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। 

তবে আবহাওয়াবিদরা স্পষ্ট করে এখনও কিছু বলতে পারছেন না যে, বর্তমান লঘুচাপটি ঝড়ে পরিণত হলে তা কত শক্তিশালী হবে এবং কোন উপকূল থেকে স্থলভাগে উঠবে।

কানাডার সাসকাচুয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক বাংলাদেশি পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ সমকালকে বলেন, যে লঘুচাপটি সৃষ্টি হয়েছে, তা শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর হতে পারে। বর্তমান লঘুচাপটি ১৪ ও ১৫ নভেম্বর আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছে ঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটি সামনে অগ্রসর হয়ে ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে উপকূলে উঠে যেতে পারে। 

যুক্তরাষ্ট্র আবহাওয়া পূর্বাভাসের মডেলের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ঝড়টি কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম উপকূলের মাঝামাঝি দিয়ে স্থলভাগে উঠে যেতে পারে। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫৩ কিলোমিটার।

এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ২২ অথবা ২৩ নভেম্বর সুন্দরবনে আঘাত হানার মধ্যদিয়ে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে। ভূভাগে প্রবেশের আগে এটি অনেকটাই দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটির নাম হবে 'জোয়াদ', নামটি দিয়েছে সৌদি আরব।

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে নভেম্বর মাসের ঝড়গুলোই বেশি ভয়ংকর ছিল। বাংলাদেশের সব থেকে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়টি ১৯৭০ সালের ১৩ নভেম্বরের গোর্কী। যে ঝড়ে ছয় লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর আরেকটি বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের নাম সিডর।