- বাংলাদেশ
- খালেদা জিয়ার অন্ত্রে রক্তক্ষরণ হচ্ছে
খালেদা জিয়ার অন্ত্রে রক্তক্ষরণ হচ্ছে
বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে বাগ্যুদ্ধ

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি ঘটেনি। চিকিৎসকদের ভাষায়, গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ব্লিডিং বা পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণই খালেদা জিয়াকে বেশি ভোগাচ্ছে। এ কারণে শারীরিক দুর্বলতা বেড়ে যাচ্ছে। এ সমস্যার কারণ চিহ্নিত করতে এ পর্যন্ত তিন দফা এন্ডোসকপি করা হয়েছে।
এদিকে অসুস্থতা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে চলছে বাগ্যুদ্ধ। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি নেই।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক অনুষ্ঠানে প্রশ্ন রেখে বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারের মধ্যে স্লো পয়জন দেওয়া হয়েছিল কিনা। এর আগে একই অভিযোগ করেছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এবার বিএনপি মহাসচিবও সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, 'এদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়।'
বিএনপির অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, 'খালেদা জিয়াকে সরকার গলা টিপে মারছে না। তার দায় সরকারের ওপর তুলে দেবেন, সেটা তো ঠিক নয়। আমাদের বয়স হয়েছে, বেঁচে থাকার তো একটা সময়সীমা আছে। জন্মের সঙ্গে মৃত্যু জড়িত। কাজেই বিএনপি নেতারা সরকারের ওপরে কথায় কথায় দোষ চাপাতে পারেন না।' জানা গেছে, সর্বশেষ বুধবার রাতেও একবার এন্ডোসকপি করা হয়। দেশের
স্বনামধন্য এন্ডোসকপি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর একেএম মোহসিন, সামশুল আরেফিন, নুরুদ্দিন, এফ সিদ্দিকি, শাহাবুদ্দিন, শেখ শাহাদাৎসহ একটি দল এন্ডোসকপি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট রয়েছেন। তারা নিজেরা বসে আলোচনা করেছেন এবং মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হচ্ছে খালেদা জিয়ার। বুধবার তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবারও হাসপাতালের নিচতলায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয়েছে। এর আগে বুধবার কলোনস্কপি পরীক্ষাসহ আরও কয়েকটি পরীক্ষা করানো হয়। আবার রাতে সিটি স্ক্যান করার কথা রয়েছে। এসব পরীক্ষার রেজাল্ট আসার পর পর্যবেক্ষণ করে মেডিকেল বোর্ড পরবর্তী ব্যবস্থাপত্র দেবে বলে একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সদস্য ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, খালেদা জিয়া ক্রনিক লিভার ডিজিসের সঙ্গে ক্রনিক কিডনি ডিজিসেও ভুগছেন। লিভারের সমস্যাটা এবার বেশি হয়েছে। পরিপাকতন্ত্রের রক্তপাত হচ্ছে। কেন খালেদা জিয়ার বারবার রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তা নির্ণয় করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বোর্ড। এতে শরীরের খাদ্যনালির সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন অর্গান পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই চিকিৎসক বলেন, আগে থেকেই খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, হার্টের সমস্যা রয়েছে। দেশের বড় চিকিৎসকরা যৌথভাবে চেষ্টা করছেন। এখন অ্যাডভান্স লিভার ডিজিসের সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। মেডিকেল বোর্ড সেগুলোই সুপারিশ করছে।
খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস রোগের কারণে গতকালও তার রক্তক্ষরণ অব্যাহত ছিল বলে জানা গেছে। এজন্য তাকে নিয়মিত রক্ত দিতে হচ্ছে। লিভার সিরোসিস হলো যকৃতের ক্রনিক রোগ, যাতে লিভারের সাধারণ আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়। তার লিভারের সমস্যার কারণেই অরুচি, ওজন হ্রাস, বমি ভাব বা বমি, বমি বা মলের সঙ্গে রক্তপাত, জ্বর জ্বর ভাব, শরীরে পানি আসা, খনিজে অসমতা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।
গত সোমবার রাত থেকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলেও গতকাল থেকে একটু সুস্থবোধ করছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে সামান্য কথা বলেছেন। দুপুরে সামান্য তরল খাবারও গ্রহণ করেছেন তিনি।
তবে তার শরীর এখনও অনেক দুর্বল। খাওয়া-দাওয়ার রুচি কম। খালেদা জিয়ার হিমোগ্লোবিন ৮.৫০। ডায়াবেটিস ১২-১৩-এর মধ্যে ওঠানামা করছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চেষ্টার অংশ হিসেবে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক খোঁজখবর নিতে গতকালও হাসপাতালে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ছুটে আসেন। এর মধ্যে নিয়মিত খোঁজখবর নিতে আসা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা নাসের রহমান, আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম ও সুলতানা আহমেদ রয়েছেন। এর বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথিও নিয়মিতভাবে হাসপাতালে খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে আসেন।
উন্নত চিকিৎসায় পরিবারের আবেদনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো সিগন্যাল পায়নি খালেদা জিয়ার পরিবার। তার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য আমরা তো আবেদন করেছি, বারবার বলছি। সরকার যদি একটু নমনীয় হয় আর অনুমতি দেয়, তাহলে আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিতে পারব। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়াটা খুবই জরুরি।
প্রার্থনা সভা :খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়া, গৌতম চক্রবর্তী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অর্পনা রায় চৌধুরী, নিপুণ রায় চৌধুরী, জয়ন্ত কুমার কু, পার্থদেব ম ল, মশিউর রহমান রনি প্রমুখ।
শিক্ষকদের বিবৃতি :গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) ৬২৫ জন শিক্ষক। ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান স্বাক্ষরিত গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলেন, খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাই আমরা সরকারকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে অবিলম্বে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই। এক্ষেত্রে দলীয় সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব পরিহার করে সরকারকে গণতান্ত্রিক পথে চলার আহ্বান করছি।
এদিকে অসুস্থতা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে চলছে বাগ্যুদ্ধ। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি নেই।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক অনুষ্ঠানে প্রশ্ন রেখে বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারের মধ্যে স্লো পয়জন দেওয়া হয়েছিল কিনা। এর আগে একই অভিযোগ করেছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এবার বিএনপি মহাসচিবও সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, 'এদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়।'
বিএনপির অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, 'খালেদা জিয়াকে সরকার গলা টিপে মারছে না। তার দায় সরকারের ওপর তুলে দেবেন, সেটা তো ঠিক নয়। আমাদের বয়স হয়েছে, বেঁচে থাকার তো একটা সময়সীমা আছে। জন্মের সঙ্গে মৃত্যু জড়িত। কাজেই বিএনপি নেতারা সরকারের ওপরে কথায় কথায় দোষ চাপাতে পারেন না।' জানা গেছে, সর্বশেষ বুধবার রাতেও একবার এন্ডোসকপি করা হয়। দেশের
স্বনামধন্য এন্ডোসকপি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর একেএম মোহসিন, সামশুল আরেফিন, নুরুদ্দিন, এফ সিদ্দিকি, শাহাবুদ্দিন, শেখ শাহাদাৎসহ একটি দল এন্ডোসকপি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট রয়েছেন। তারা নিজেরা বসে আলোচনা করেছেন এবং মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হচ্ছে খালেদা জিয়ার। বুধবার তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবারও হাসপাতালের নিচতলায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয়েছে। এর আগে বুধবার কলোনস্কপি পরীক্ষাসহ আরও কয়েকটি পরীক্ষা করানো হয়। আবার রাতে সিটি স্ক্যান করার কথা রয়েছে। এসব পরীক্ষার রেজাল্ট আসার পর পর্যবেক্ষণ করে মেডিকেল বোর্ড পরবর্তী ব্যবস্থাপত্র দেবে বলে একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সদস্য ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, খালেদা জিয়া ক্রনিক লিভার ডিজিসের সঙ্গে ক্রনিক কিডনি ডিজিসেও ভুগছেন। লিভারের সমস্যাটা এবার বেশি হয়েছে। পরিপাকতন্ত্রের রক্তপাত হচ্ছে। কেন খালেদা জিয়ার বারবার রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তা নির্ণয় করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বোর্ড। এতে শরীরের খাদ্যনালির সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন অর্গান পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই চিকিৎসক বলেন, আগে থেকেই খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, হার্টের সমস্যা রয়েছে। দেশের বড় চিকিৎসকরা যৌথভাবে চেষ্টা করছেন। এখন অ্যাডভান্স লিভার ডিজিসের সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। মেডিকেল বোর্ড সেগুলোই সুপারিশ করছে।
খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস রোগের কারণে গতকালও তার রক্তক্ষরণ অব্যাহত ছিল বলে জানা গেছে। এজন্য তাকে নিয়মিত রক্ত দিতে হচ্ছে। লিভার সিরোসিস হলো যকৃতের ক্রনিক রোগ, যাতে লিভারের সাধারণ আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়। তার লিভারের সমস্যার কারণেই অরুচি, ওজন হ্রাস, বমি ভাব বা বমি, বমি বা মলের সঙ্গে রক্তপাত, জ্বর জ্বর ভাব, শরীরে পানি আসা, খনিজে অসমতা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।
গত সোমবার রাত থেকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলেও গতকাল থেকে একটু সুস্থবোধ করছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে সামান্য কথা বলেছেন। দুপুরে সামান্য তরল খাবারও গ্রহণ করেছেন তিনি।
তবে তার শরীর এখনও অনেক দুর্বল। খাওয়া-দাওয়ার রুচি কম। খালেদা জিয়ার হিমোগ্লোবিন ৮.৫০। ডায়াবেটিস ১২-১৩-এর মধ্যে ওঠানামা করছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চেষ্টার অংশ হিসেবে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক খোঁজখবর নিতে গতকালও হাসপাতালে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ছুটে আসেন। এর মধ্যে নিয়মিত খোঁজখবর নিতে আসা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা নাসের রহমান, আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম ও সুলতানা আহমেদ রয়েছেন। এর বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথিও নিয়মিতভাবে হাসপাতালে খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে আসেন।
উন্নত চিকিৎসায় পরিবারের আবেদনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো সিগন্যাল পায়নি খালেদা জিয়ার পরিবার। তার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য আমরা তো আবেদন করেছি, বারবার বলছি। সরকার যদি একটু নমনীয় হয় আর অনুমতি দেয়, তাহলে আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিতে পারব। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়াটা খুবই জরুরি।
প্রার্থনা সভা :খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়া, গৌতম চক্রবর্তী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অর্পনা রায় চৌধুরী, নিপুণ রায় চৌধুরী, জয়ন্ত কুমার কু, পার্থদেব ম ল, মশিউর রহমান রনি প্রমুখ।
শিক্ষকদের বিবৃতি :গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) ৬২৫ জন শিক্ষক। ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান স্বাক্ষরিত গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলেন, খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাই আমরা সরকারকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে অবিলম্বে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই। এক্ষেত্রে দলীয় সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব পরিহার করে সরকারকে গণতান্ত্রিক পথে চলার আহ্বান করছি।
মন্তব্য করুন