- বাংলাদেশ
- আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়: আবরারের বাবা
আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়: আবরারের বাবা
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত। রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার নতুন তারিখ নির্ধারণের পর আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। তিনি বলেছেন, ‘আদালতের ওপর আমাদের আস্থা আছে। আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। আমরা সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’
রোববার সকালে রায় শুনতে আদালতে আসেন নিহত আবরারের বাবা। কিন্তু আজ রায় না হওয়ায় তিনি বলেন, কুষ্টিয়া থেকে আমাকে আসতে হয়। আসা-যাওয়া অনেক কষ্টের। আজ রায়টা হয়ে গেলে ভালো হতো। দ্রুততম সময়ে যেন রায়টা হয়, সেটাই প্রত্যাশা করছি।
আবরারের বাবা বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আদালত আবরার হত্যা মামলার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে। আসামিদের সবার যেন ফাঁসির রায় হয়। এই রায় যেন ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে থাকে। আর কোনো মায়ের বুক যেন এভাবে খালি না হয়। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং নামে আর কিছু যেন না থাকে।’
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালদত রায়ের জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে আসামিরা। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।
আসামিরা হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার ওরফে অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত, আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা, উপসমাজসেবা-বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, গ্রন্থ ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, ছাত্রলীগ কর্মী মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মো. মুজাহিদুর রহমান, মো. মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
শেষের তিনজন পলাতক। আর ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন