- বাংলাদেশ
- রকি-আলমের ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
কুমিল্লায় জোড়া খুন
রকি-আলমের ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

নিহত কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল। ফাইল ছবি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলায় শনিবার রাতে গ্রেপ্তার দুই আসামির সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। আদালত রিমান্ড আবেদনের শুনানি না করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার বিকেলে তাদের আদালতে তুলে এই রিমান্ড চাওয়া হয়। আসামিরা হলেন- নগরীর তেলিকোনা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান রকি এবং সুজানগর পূর্ব পাড়া বউবাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে ও প্রধান আসামি শাহ আলমের ভাই আলম।
এর আগে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাোপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব)। পরে শনিবার রাতে তাদের কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যা ব। রকি ও আলম মামলার এজাহারনামীয় আসামি। এর আগে একই মামলার আসামি গ্রেপ্তার মাসুমকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। সে আবেদনেরও শুনানি না করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম জানান, এ মামলায় এরই মধ্যে এজাহারনামীয় চান জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে রকি ও আলম এবং সুজানগর এলাকার কানু মিয়ার ছেলে সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে হস্তান্তর করে র্যা ব। এছাড়া অভিযান চালিয়ে মাসুমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে সুমন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপর ৩ আসামির রিমান্ডের আবেদন শুনানি না হওয়ায় তারা কারাগারে রয়েছেন।
ওসি বলেন, ‘৩ আসামির রিমান্ড শুনানি ২/৩ দিনের মধ্যে হতে পারে। তাদের রিমান্ডে আনা হলে ঘটনার বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে।’
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর সোমবার বিকেলে সশস্ত্র মুখোশধারীরা কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের পাথুরিয়াপাড়া থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি করে। এতে সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন আরও পাঁ জন। তারা কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মন্তব্য করুন