- বাংলাদেশ
- ‘ওমিক্রন’ প্রতিরোধে জনসমাবেশ নিষিদ্ধ, স্ক্রিনিংসহ ১৫ নির্দেশনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
‘ওমিক্রন’ প্রতিরোধে জনসমাবেশ নিষিদ্ধ, স্ক্রিনিংসহ ১৫ নির্দেশনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রনের’ প্রাদুর্ভাবের পর বাংলাদেশে এর সংক্রমণ ঠেকাতে ১৫টি সুপারিশ এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসকে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট থেকেও ‘অধিকতর ভয়ঙ্কর’ বলছে যখন, তখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগাম সতর্কবার্তা বলেছে, এই ভাইরাস অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইতোমধ্যেই সংক্রামিত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান যোগাযোগ বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ‘ওমিক্রনের’ সংক্রমণ ঠেকাতে চারটি সুপারিশের কথা জানিয়েছেন।
রোববার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে ১৫টি পদক্ষেপ বাস্তবায়নের পরামর্শ আসে।
সেগুলো হল:
> সাউথ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াহিনি, লেসোথাে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সময় সময় ঘােষিত অন্যান্য আক্রান্ত দেশ হতে আগত যাত্রীদের বন্দরসমূহে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে।
> সকল ধরনের সামাজিক/বাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে।
> প্রয়োজনে বাইরে গেলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে বাড়ির বাইরে সর্বদা সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত হতে হবে।
> রেস্তোরাঁতে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা ধারন ক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম করতে হবে।
> সকল প্রকার জনসমাবেশ, পর্যটন স্থান, বিনােদন কেন্দ্র, রিলাের্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল/থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) ধারন ক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম সংখ্যক লোক অংশগ্রহণ করতে পারবে।
> মসজিদসহ সকল উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
>গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
> আক্রান্ত দেশসমূহ হতে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।
> সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (সকল মাদ্রাসা, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
> সব স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সেবাগ্রহিতা, সেবা প্রদানকারী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সর্বদা সঠিকভাৰে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
>স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
> কােননো উপসর্গ-লক্ষণযুক্ত সন্দেহজনক ও নিশ্চিত করােনা রােগীর আইসােলেশন ও করোনা পজিটিভ রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের কেয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
>কোভিড-১৯ এর লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিকে আইসােলেশনে রাখা এবং তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে সহায়তা করা যেতে পারে।
> অফিসে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সময়ে বাধ্যতামূলকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা দাপ্তরিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
>কোভিড--১৯ রােগ নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাস করার নিমিত্তে কমিউনিটি পর্যায়ে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সচেতনতা তৈরির জন্য মাইকিং ও প্রচারণা চালানাে যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে মসজিদ/মন্দির/মির্জা প্যাগােডা এর মাইক ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর/ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
মন্তব্য করুন