পৃথক মামলায় বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা জিকে শামীমের মা আয়েশা আক্তার এবং চিত্রনায়িকা পরীমণির কথিত সহযোগী নজরুল ইসলাম রাজকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন।

গত ২২ নভেম্বর জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদের মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন কারাগারে থাকা ঠিকাদার জি কে শামীমের মা আয়েশা আকতার। 

মামলায় বলা হয়, আসামি এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম (জিকে শামীম) ও তার মা আয়েশা আক্তার পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধ উপায়ে নিজেদের নামে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকা ভোগ দখলে রেখেছেন। 

এ ঘটনায় দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর মামলা করেন। সোমবার ওই মামলায় আয়েশা আক্তার আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে জি কে শামীমের মায়ের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। 

এর আগে হাসপাতাল থেকে আগাম জামিনের জন্য অ্যাম্বুলেন্সে আয়েশা আক্তারকে হাইকোর্টে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা।

অন্যদিকে অর্থপাচারের মামলায় নজরুল ইসলাম রাজের জামিন আবেদন উপস্থাপন হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

আদালতে রাজের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে রাশেদুল হক। 

গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এরপর রাতে তার সহযোগী রাজের বনানীর বাসায়ও অভিযান চালানো হয়। অভিযানে রাজের দুই সহযোগীসহ তিনজনকে আটক করা হয়। পরে সিআইডি ২৯ সেপ্টেম্বর বনানী থানায় তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা করে। 

নিম্ন আদালতে নাকচ হলে সোমবার ওই মামলায় নজরুল ইসলাম রাজ হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।