ঢাকার আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামে দশ বছর আগে ডাকাত সন্দেহে যে ছয় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মারা হয় তাদেরই একজন তৌহিদুর রহমান পলাশ।

মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন পলাশ। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশের স্বপ্ন ছিল যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার। এমনটাই জানালেন তারা বাবা মজিবুর রহমান।

বৃহস্পতিবার পলাশসহ ছয় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে মামলায় প্রধান আসামিসহ ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পলাশের বাবা মজিবুর রহমান জানান, রায় দ্রুত কার্যকর করলে তিনি খুশি হবেন।

তিনি জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করতেন তিনি, এখন অবসরে। তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে পলাশ সবার ছোট। পলাশের বড় বোন আমেরিকায় থাকেন। সেখানে যাওয়ার প্রস্ততি চলছিল তার। হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পর ভিসা হয়েছিল তার।

মজিবুর রহমান বলেন, 'আজ আমার ছেলের আমেরিকায় থাকার কথা। সেখানে তার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্ন ছিল। ছেলেটা আজ কত বড় হয়ে যেত। কিন্তু এক রাতেই সব শেষ হয়ে গেল।'

দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তিনি বলেন, 'বাবা হয়ে ছেলের লাশ কাঁধে নিতে হয়েছে আমাকে। এর চেয়ে পৃথিবীতে কষ্টের কী থাকতে পারে!'