ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়েজিত আলোচনা সভায় বিশিষ্টজন বলেছেন, কোন দেশে কতটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো কতটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় আছে। তাই তো আমেরিকাতে আইভি লীগ, জাপানে ইম্পেরিয়াল ইউনিভার্সিটি, ইংল্যান্ডে রাসেল গ্রুপ ইউনিভার্সিটি এবং ইন্ডিয়াতে আইআইটির কথা বলা হয়। তারা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমানের গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করতে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা ৬৫ ভাগের বয়স ৩০ বছরের নিচে। তাদের মেধা দক্ষতার ওপরে দেশের সমৃদ্ধি নির্ভর করবে। তাদের প্রত্যেকেরই ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে, তবে তারা এর অপব্যবহার করবে না।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা কোনো দিন কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথানত করেনি। শিক্ষকরা তাদের সন্তানদের বিপদে আগলে রেখেছেন। এমনকি পাকিস্তানপন্থি শিক্ষকরাও আমাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষকরাও সেই ঐতিহ্য হারাননি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন মানবাধিকার নেত্রী সুলতানা কামাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক ও বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালও উপস্থিত ছিলেন।

সুলতানা কামাল মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, আমরা সেই মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকারী। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের কাছে আবেদন, আপনারা শিক্ষার্থীদের সেই শিক্ষাটা দেবেন।

এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, 'আমার জীবনের ৫৭-৬০ বছরের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ছিলাম। আমার একটাই প্রত্যাশা জাতির কাছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে, আগামী শতাব্দীতে আমরা যেন আরও গতিশীল, সৃজনশীল, মানবিক ও মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ উপহার দিতে পারি।'