রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী মো. মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার অনাবিল পরিবহনের সুপারভাইজার গোলাম রাব্বী ওরফে বিন রহমান ও হেলপার চাঁন মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শুক্রবার তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন।

এর আগে এক দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার এসআই মোহাম্মদ আল আমিন মীর। তিনি আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম দু'জনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

২৯ নভেম্বর রাতে রামপুরায় বাসচাপায় একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র মাইনুদ্দিন নিহত হন। পরদিন তার মা রাশিদা বেগম বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় সুপারভাইজার-হেলপারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

এর আগে ২৪ নভেম্বর গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের ছাত্র নাঈম হাসানের মৃত্যু হয়। এরপর নতুন করে শুরু হয় নিরাপদ সড়ক আন্দোলন। মাইনুদ্দিনের মৃত্যুতে সেই আন্দোলন আরও জোরদার হয়ে ওঠে। এর ধারাবাহিকতায় গতকালও রামপুরায় বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা সড়ক নিরাপদ করাসহ ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করে তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।