বুকভরা আশা নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় পা রাখেন একেকজন শিক্ষার্থী। তাদের ঘিরে স্বপ্ন বোনে পরিবারও। কিন্তু মাঝে মধ্যেই ছাত্র রাজনীতির দলাদলি আর সংঘাতে প্রাণ যায় মেধাবী তরুণদের। কেউ কেউ রাজনীতির সঙ্গে না জড়িয়েও হত্যাকাণ্ডের শিকার হন, যার সর্বশেষ বড় নজির বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ। নানা সময়ে ভিন্ন ভিন্ন কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রক্ত ঝরেছে। স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত ১৫০ জন খুন হন। তাদের মধ্যে ১৪৬ জন শিক্ষার্থী। এসব ঘটনায় সব ধরনের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে এখনও কোনো অপরাধীকে চূড়ান্ত শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়নি। কিছু আলোচিত মামলার রায় হলেও সাজাপ্রাপ্তদের অনেকে পলাতক। অনেক মামলার দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরছেন; কিন্তু পুলিশ তাদের 'খুঁজে পাচ্ছে না'। কিছু মামলা এখনও তদন্তাধীন।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সমকালকে বলেন, মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তদারক করা জরুরি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার শেষ করার জন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সরকারি কৌঁসুলিদের আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। আবার এটাও খেয়াল রাখতে হবে যেন তদন্ত সঠিকভাবে হয়। সেটা না হলে যারা মূল অপরাধী তারা আড়ালে থাকবে।
ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ ও আবরার হত্যা মামলার সরকারি কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ক্যাম্পাস এমন এক জায়গা যেখানে নতুন শিক্ষার্থী আসে, পুরোনোরা চলে যায়। তাই অনেক সময় মামলার সাক্ষী পাওয়া যায় না। সাক্ষী না পেলে বিচার হবে কীভাবে। সদিচ্ছা থাকায় আবরারের মামলার দ্রুত বিচার হয়েছে। সাক্ষী না পাওয়ায় অনেক মামলার বিচারই শেষ হয়নি।
পুরোনো বিভিন্ন নথি বিশ্নেষণ করে দেখা যায়, স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৭৪ থেকে সর্বশেষ ২০১০ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মোট ৬৪টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে ৬০ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, চারজন বহিরাগত। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, ক্যাম্পাসে প্রভাব বিস্তার, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে এসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বহুল আলোচিত সাত ছাত্র খুনের ঘটনা ঘটে ১৯৭৪ সালে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চার বছর পরে আদালত শফিউল আলম প্রধানকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বাকি আসামিদের দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর আসামিরা সবাই ছাড়া পেয়ে যান।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন হয়েছেন ১৯ শিক্ষার্থী। ১৯৮৮ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এসব খুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে একটি মাত্র খুনের বিচার শেষ হয়েছে। ওই মামলার সব আসামি খালাস পেয়েছেন। এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটে দু'জন করে এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন করে খুন হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খুনোখুনি :১৯৭৪ সালে সাত খুনের পর ১৯৭৭ সালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণ হারান সংগঠনটির শীর্ষ নেতা লুকুসহ আরও দুই কর্মী। একই বছর ক্যাম্পাসে সক্রিয় নুর গ্রুপের ক্যাডারদের হাতে প্রাণ হারান আরেক ছাত্রলীগ নেতা আওরঙ্গের ভাই রন্টু। ১৯৮৬ সালে ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে প্রাণ হারান আসলাম নামের এক ছাত্র। ১৯৯০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা চুন্নুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে খুন হন সূর্য সেন হলের ছাত্র আলমগীর কবীর। এছাড়া একই বছর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের এক জাসদ ছাত্রলীগ কর্মী। সেদিনই ফজলুল হক হলের ডরমিটরি থেকে উদ্ধার করা হয় শাহীন নামে আরেক ছাত্রের লাশ। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ছাত্রদল ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হন ডা. মিলন। ১৯৯২ সালের ১৩ মার্চ গণতান্ত্রিক ছাত্র ঐক্যের কর্মীদের গুলিতে খুন হন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মঈন হোসেন রাজু। ১৯৯১ সালের ২৭ অক্টোবর ক্যাম্পাসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিন বহিরাগত ছাত্র গালিব, লিটন ও মিজান। ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল ক্যাম্পাসে খুন হন ছাত্রলীগ নেতা পার্থ প্রতিম আচার্য। সর্বশেষ ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি স্যার এফ রহমান হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারা যান ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক। ২০১৭ সালের ৭ মে আবু বকর সিদ্দিক হত্যাকাণ্ডের রায়ে সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
সনি থেকে আবরার :২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলের সামনে টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হল ছাত্রদলের টগর গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হন বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি। নিম্ন আদালতে মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। ২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদ প্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। পরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত পালিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ায়। পলাতক রয়েছেন নুরুল ইসলাম সাগর ওরফে শুটার নুরু। জেলে রয়েছেন টগর। ২০১৩ সালে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ রায়হান নিহত হন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
থমকে আছে বিচার :চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ছিলেন আলী মর্তুজা। ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের গুলিতে নিহত তিনি। সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে না আসায় দুই দশকেও বিচার কাজ শেষ হয়নি। ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাসে নিজের বাসা থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ। পাঁচ বছর পার হলেও এ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্র দিতে পারেনি পুলিশ। শুধু আলী মর্তুজা ও দিয়াজই নন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দশকে খুন হয়েছেন ১৯ শিক্ষার্থী। একটি মাত্র খুনের বিচার শেষ হয়েছে। আর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর গত ১০ বছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আট শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু'জন ছাত্রলীগের এবং তিনজন ছাত্রশিবিরের নেতা ছিলেন। বাকি তিনজন সাধারণ শিক্ষার্থী।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন চট্টগ্রামের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবীর চৌধুরী সমকালকে বলেন, ঘটনার পর যখন মামলা করা হয় তখন উদ্দেশ্যই ঠিক থাকে না। যতটা না হত্যার বিচারের উদ্দেশ্যে করা হয়, তার চেয়ে বেশি প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের জন্য অনেককে আসামি করা হয়। বিচার শুরুর পর প্রত্যক্ষ সাক্ষী পাওয়া যায় না।
রাবিতে ৩৫ শিক্ষার্থী খুন :রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ৩৫ জনের মধ্যে ছাত্রশিবিরের ১৬ জন, ছাত্রলীগের সাতজন, ছাত্রদলের তিনজন, জাসদ ছাত্রলীগের তিনজন, ছাত্র মৈত্রীর দু'জন, ছাত্র ইউনিয়নের একজন রয়েছেন। অধিকাংশ মামলাই পুলিশ বাদী হয়ে করেছে। কিছু কিছু মামলা বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে করেছে। এর মধ্যে কয়েকটির বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আবার সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে অনেক মামলা সামনেই এগোয়নি। কিছু মামলা আটকে গেছে 'অদৃশ্য' শক্তির কারণে।
২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর সর্বশেষ খুন হন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু। ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে গুলিতে নিহত হন হল শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী। এ ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা হলেও অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় আদালতে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
২০১২ সালের ১৫ জুলাই খুন হন ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল্লাহ আল হাসান। এ মামলার বিচার চলমান। ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেনের লাশ শাহ মখদুম হলের পেছনে ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয়। এ মামলার অভিযোগ গঠন করা হলেও এখনও চূড়ান্ত রায় আসেনি।
২০১০ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষের জেরে ছাত্রলীগ কর্মী নাসরুল্লাহ নাসিম খুন হন। এ মামলারও বিচার শেষ হয়নি। ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবির সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান নোমানী নিহত হন।
হত্যার শিকার হওয়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী লিপুর বাবা বদর উদ্দীন বলেন, 'বিচার পাব না- সেটি আমরা জানি। সে জন্যই মামলা ঝুলে আছে। এসব হত্যাকাণ্ড যারা ঘটায়, তাদের অধিকাংশই প্রভাবশালী।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, 'হত্যার মামলাগুলো পুলিশ বাদী হয়ে করে। তাই এসব মামলার অগ্রগতি রেজিস্ট্রারের দপ্তরে থাকে না। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করায় সব তারাই দেখাশোনা করে।'
ধরাছোঁয়ার বাইরে জড়িতরা :জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময় অন্তত ৭ শিক্ষার্থী নিহত হন। জাকসুর জিএস শাহ মো. বোরহানুদ্দিন রোকন ও মোজাম্মেল হক, হাবীবুর রহমান কবির, শওকত কবীর দিপুসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের বিচার দূরে থাক, অনেক ঘটনার নথিও প্রশাসনের কাছে নেই। শুধু জুবায়ের ও আনন্দ ঘোষ হত্যাকাণ্ডে আদালত রায় দিলেও সাজাপ্রাপ্ত আসামি অনেকেই পলাতক; কেউ কেউ জামিনে।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী জুবায়ের আহমদ খুন হন। এ ঘটনার পর ১৩ জনকে আসামি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি হত্যা মামলা করে। পরে আদালত পাঁচজনকে ফাঁসি, ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দু'জনকে খালাস দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে খান মোহাম্মদ রইস ওরফে সোহান ও ইশতিয়াক মাবুব ওরফে অরূপ দেশের বাইরে রয়েছেন। ১৯৯৭ সালে ২৩ ব্যাচের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র আনন্দ কুমার ঘোষ খুন হন। পরে ১৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচার শেষ হয়নি। ১৯৮৯ সালের ২৬ আগস্ট ছাত্রশিবিরের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শহীদ সালাম বরকত হলের আবাসিক ছাত্র হাবীবুর রহমান কবির নিহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (আইন) মাহতাব উজ জাহিদ সমকালকে জানান, এ যাবৎকালে ক্যাম্পাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মধ্যে মাত্র দুটির বিচার হয়েছে।
[প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন রাজশাহী ব্যুরোর সৌরভ হাবিব ও নুরুজ্জামান খান, চট্টগ্রাম ব্যুরোর আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাবি প্রতিবেদক মাজহারুল ইসলাম রবিন, সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক গোবিন্দ আচার্য ও জাবি প্রতিনিধি আবু নাঈম তরুণ]




বিষয় : ক্যাম্পাসে খুন

মন্তব্য করুন