রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার থেমে থেমে রক্তক্ষরণ চলছেই বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। এতে তার রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে যাচ্ছে এবং শারীরিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ছেন তিনি।

চিকিৎসকরা ইনজেকশন দিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি রক্ত দিয়ে শরীরের হিমোগ্লোবিন নিয়ন্ত্রণ রাখতে চেষ্টা করছেন। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার শারীরিক এ অবস্থা গত চার দিন ধরেই চলছে। এতে উদ্বিগ্ন তার পরিবারের সদস্যরা।

শুক্রবার তার বোন সেলিমা ইসলাম ও ভাবি নাসরিন এস্কান্দার হাসপাতালে আসেন। তারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। এ ছাড়া পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথিও হাসপাতালে আসেন বলে জানা গেছে।

গত ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এভারকেয়ারের চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি বিশেষ মেডিকেল টিম তার চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। ৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর আগে অসুস্থতার জন্য টানা ২৬ দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ৭ নভেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। এর আগে গত এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি।

মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, গত মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার কমবেশি রক্তক্ষরণ চলছে। তবে এর আগে বড় আকারের তিন দফায় যেভাবে রক্তক্ষরণ হয়েছে, এবার সেভাবে হচ্ছে না। কিন্তু যে পরিমাণে হচ্ছে, তাও তার মতো একজন বয়স্ক এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীর পক্ষে সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন আগের মতোই আছেন। শারীরিক দুর্বলতা ও রক্তক্ষরণ সব আগের মতোই আছে।