মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সিলেট জেলা প্রশাসন আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের আঞ্চলিক সমাবেশে তাদের অসম্মানের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসকের অপসারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। 

মঙ্গলবার দুপুরে মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে এই দাবি জানান।

লিখিত প্রতিবাদলিপিতে তারা বলেন, সোমবার সিলেট স্টেডিয়ামে সিলেট জেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আঞ্চলিক সমাবেশে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পিছনের সারিতে বসিয়ে অসম্মান করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। 

তারা বলেন,‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিগুলো দেখে স্পষ্ট বোঝা যায়, সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে পিছনে সাধারণ প্লাস্টিক চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সামনের সারিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তাদের জন্য উন্নত চেয়ার রাখা হয়েছে যা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। যাদের জন্য এই আয়োজন ছিল তাদের পিছনের সারিতে বসিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অসম্মানিত করা হয়েছে।’ 

তাদের অভিযোগ, এধরনের অসম্মানজনক ব্যবস্থাপনা দেখে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ করেছিলেন কিন্তু সিলেট জেলা প্রশাসন দায়ীদের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। 

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, ‘এ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সিলেট জেলা প্রশাসক কখনও এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের দায়ভার এড়াতে পারেন না। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালীন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে প্রকাশ্য দিবালোকে অসম্মান করে সিলেট জেলা প্রশাসন প্রমাণ করেছে যে, প্রকৃতপক্ষে তারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়।’ 

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, অবিলম্বে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসককে অপসারণসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরাও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।