সাংবাদিক, লেখক ও প্রকাশকদের নিয়ে কপিরাইট আইন বিষয়ে পিআইবির কর্মশালা
পিআইবির কর্মশালায় সাংবাদিক, লেখক, প্রকাশক ও প্রশিক্ষকেরা
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৬:৩১
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) উদ্যোগে ‘কপিরাইট আইন ও এর প্রয়োগ’ শীর্ষক কর্মশালা হয়েছে। এতে ৩০ জনেরও বেশি সাংবাদিক, লেখক ও প্রকাশক অংশ নেন। বুধবার পিআইবির ১ নম্বর ভবনের সেমিনার কক্ষে দিনব্যাপী এ কর্মশালা হয়। পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ এতে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস (অতিরিক্ত সচিব) মো. দাউদ মিয়া। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস (উপসচিব) আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক।
কর্মশালায় জাফর ওয়াজেদ বলেন, ‘কপিরাইট আইন যথাযথ প্রয়োগ করতে পারলে মেধাস্বত্বের মূল্যায়ন হবে। এতে কারও সৃজনশীল কর্ম অন্য কেউ নিজের নামে চালিয়ে দিতে পারবে না। ফলে মানুষ তার কর্মের স্বীকৃতির পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হবে। যা দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি সুরকার, গীতিকার, লেখকসহ সৃজনশীল মানুষের মেধাস্বত্ব অটুট রাখার জন্য কপিরাইট আইন প্রয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন। কপিরাইট আইন গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হতে পারে।’
আলোচনায় বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস (অতিরিক্ত সচিব) মো. দাউদ মিয়া বলেন, ‘মেধা ও সৃজনশীল কর্মের আইনী সুরক্ষাই হলো কপিরাইট। কোন কর্মের প্রথম ব্যক্তিই হলো সেটার স্বত্বাধিকারী। এই স্বত্বাধিকারী রক্ষা করার নামই হলো কপিরাইট আইন। কপিরাইট আইনটি যথোপযুক্ত ব্যবহার করতে পারলে মেধাস্বত্বের আর্থিক ও আইনগত সুরক্ষা পেত। এতে করে একদিকে যেমন মেধাস্বত্ব অক্ষুন্ন থাকত।’
মো. দাউদ মিয়া বলেন, ‘মেধা ও সৃজনশীল কর্মের আইনি সুরক্ষাই হলো কপিরাইট। কোন কর্মের প্রথম ব্যক্তিই হলো সেটার স্বত্বাধিকারী। এই স্বত্বাধিকারী রক্ষা করার নামই হলো কপিরাইট আইন। কপিরাইট আইনটি যথোপযুক্ত ব্যবহার করতে পারলে মেধাস্বত্বের আর্থিক ও আইনগত সুরক্ষা পেতো। এতে করে একদিকে যেমন মেধাস্বত্ব অক্ষুণ্ন থাকতো। অপরদিকে দেশের প্রবৃদ্ধি বেড়ে যেতো। কপিরাইট আইন সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হতে পারে। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই জানে না কপিরাইট আইন কি? কিংবা এর প্রয়োগ কিভাবে হয়। কপিরাইট একটি সার্বজনীন বিষয়। মূলত মেধাস্বত্ব রয়েছে এমন কর্ম এর আওতায় পড়ে। ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নীতিমালা অনুযায়ী সাহিত্য বা নাটকের রচয়িতা, গানের ক্ষেত্রে সুরকার ও গীতিকার, ছবির ক্ষেত্রে আলোকচিত্রকার, শিল্পকর্মের জন্য শিল্পী, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজক, তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সফটওয়্যার কিংবা ডিভাইস সৃষ্টিকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া সকল সৃষ্টিশীল কাজের অনুবাদ, সম্প্রচার মাধ্যমের ক্ষেত্রে সম্প্রচার সংস্থা, মুদ্রণ শিল্পের প্রকাশক, অনুষ্টানের অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীর কর্মও কপিরাইটের আওতাভুক্ত।’
বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের কপিরাইট ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উপসচিব) আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ‘কপিরাইট মূলত মেধাস্বত্ব ও সৃজনশীল কর্ম অটুট রেখে সমাজের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করা। কারণ কপিরাইট আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে দেশ ও জাতির অগ্রগতি সাধিত হবে। তিনি আরো বলেন, সাহিত্য বা নাটকের রচয়িতা, গানের ক্ষেত্রে সুরকার ও গীতিকার, ছবির ক্ষেত্রে আলোকচিত্রকার, শিল্পকর্মের জন্য শিল্পী, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজক, তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সফটওয়্যার কিংবা ডিভাইস সৃষ্টিকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া সকল সৃষ্টিশীল কাজের অনুবাদ, সম্প্রচার মাধ্যমের ক্ষেত্রে সম্প্রচার সংস্থা, মুদ্রণ শিল্পের প্রকাশক , অনুষ্টানের অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীর কর্মও কপিরাইটের আওতাভুক্ত।’
কর্মশালার সমন্বয়ক হিসিবে দায়িত্ব পালন করেন পিআইবির প্রতিবেদক এম এম নাজমুল হাসান।