ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

শীতে গরম পোশাকের বাজারে উত্তাপ

শীতে গরম পোশাকের  বাজারে উত্তাপ

.

 ইমরান হুসাইন

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ২৩:৩৯

পৌষের শেষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে নেমেছে হাড় কাঁপানো শীত। গ্রামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহরেও বইছে হিম বাতাস। রাজধানীতে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকানে বেড়েছে গরম পোশাক বিক্রি। শীতের জোয়ারে ক্রেতার চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারাও। শীতবস্ত্রের দামের উত্তাপে গরম হয়ে উঠেছে পোশাকের বাজার।
মঙ্গলবার রাজধানীর নিউমার্কেট, গুলিস্তান, সদরঘাট, পল্টন, বঙ্গবাজার, ফুলবাড়িয়া মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব দোকানে শীতের পোশাকের জন্য ক্রেতার ভিড়; তারা পছন্দ মতো কিনছেন বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড়। ব্যবসায়ীরা জানান, এবার শীতে বেশি বিক্রি হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের কাপড়। মান ও আকার ভেদে ভিন্ন ভিন্ন দামে এগুলো বিক্রি হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি দামে শীতের টুপি ৩৫ থেকে ২৫০ টাকা, হাত-পায়ের মোজা ১৫ থেকে ১২০ টাকা, মাফলার ৭০ থেকে ৪০০ টাকা, সোয়েটার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা, ফুলহাতা গেঞ্জি ১৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরম চাদর ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ছেলেদের পোশাকের চেয়ে তুলনামূলক বেশি বিক্রি হচ্ছে মেয়েদের পোশাক। দামও চড়া। পাইকারি দামে মেয়েদের পোশাক ৬০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্তও বিক্রি করছেন দোকানিরা। 
ছোট-বড় পোশাকের পাশাপাশি কম্বলের দোকানগুলোতেও ভিড় চোখে পড়ার মতো। মান ও আকার ভেদে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে কম্বল। সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে উত্তরঞ্চলের ক্রেতাদের চাহিদা ভারি ও বড় কম্বল। প্রেসিডেন্ট, জান্নাত, ক্যাঙ্গারু, সুলতান, সোলারন, ডলফিন গোল্ড কিংস্টারের মতো মোটা কম্বলের চাহিদা বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। এগুলো ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গুলিস্তানের কম্বল বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, এবার কম্বলের দাম অনেক বেশি। গতবারের তুলনায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি।
পঞ্চগড়ের বোদা থেকে পাইকারি দামে শীতের কাপড় কিনতে আসা দোকানি হালিম চৌধুরী জানান, এলাকায় শীত অনেক বেশি। বিক্রিও ভালো হয়েছে।  অন্যবারের তুলনায় শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাপড়ের দাম বেশ বেড়েছে। ছোট কাপড়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা আর বড় ও মোটা কাপড়প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেশি।

সদরঘাটের পাইকারি মার্কেটের ‘মায়ের আঁচল গার্মেন্ট’-এর স্বত্বাধিকারী রশিদ শিকদার জানান, বছরজুড়েই সুতা, তেলসহ সব জিনিসের দাম বেড়েছে। এগুলোর প্রভাবে কাপড়ের দামে বেড়েছে।
আরেক ব্যবসায়ী সুনীত সাহা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে পুরোনো অনেক ক্রেতা নেই। শীতে ক্রেতা-বিক্রেতার এ উৎসবে অংশ নিয়েছেন কুলি-শ্রমিকরাও। পোশাকের বড় বড় গাঁটরি বহন করে তাদের রোজগারও বেড়েছে।

আরও পড়ুন

×