ঢাকা সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

সভায় বক্তারা

যৌন হয়রানি রোধে আইন প্রণয়নের দাবি

যৌন হয়রানি রোধে আইন প্রণয়নের দাবি

সিরডাপ মিলনায়তনে আসকের মতবিনিময় সভা। ছবি: সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৯:২৩ | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ | ২০:০৮

যৌন হয়রানি রোধে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী পৃথক আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, ২০০৯ সালে হাইকোর্ট যৌন হয়রানি রোধে পৃথক আইন প্রণয়নের নির্দেশনা দিলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। যৌন হয়রানির ধরণ নানাভাবে বদলেছে। আইন না হওয়ায় যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন অনেকাংশেই অপরাধীদের কাছে বৈধতা পাচ্ছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকারে আইনের প্রয়োজনীয়তা’–শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বেসরকারি সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এই সভার আয়োজন করে। তারা আরও বলেন, দেশে প্রচলিত আইনে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অনেক বিষয় অনুপস্থিত। আইনের সীমাবদ্ধতার কারণে যৌন হয়রানির অনেক বিষয়ে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না।

আসক–এর নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সলের সভাপতিত্বে সভায় সংগঠনের অগ্নি প্রকল্পের আওতায় গত বছর নারী নির্যাতন নিয়ে গাজীপুরের ৫টি ও রাজশাহীর ৯টিসহ ১৪টি উপজেলায় পরিচালিত জরিপের প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রকল্প সমন্বয়কারী আসমা খানম রুবা।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালে রাজশাহীতে ২৫ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বিদ্যমান ব্যবস্থায় অনলাইনেও নারীরা নিরাপদ নয়। এর মাধ্যমেও বাড়ছে নারীর প্রতি বৈষম্য, অবমাননা ও যৌন নিপীড়নের ঘটনা। একই সময়ে রাজশাহীতে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮৬ নারী এবং যৌতুকের জন্য ৬০ নারী  নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়াও সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে ২ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অন্যদিকে ২০২৩ সালে গাজীপুরে ধর্ষণ ও ধর্ষণ সংক্রান্ত সহিংসতার শিকার হয়েছেন মোট ৩৪ নারী। বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ৪৩ নারী।  

আসক’র জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবিরের সঞ্চালনায় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। তারা যৌন হয়রানি ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতারোধে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নে সরকারের সঙ্গে আলোচনা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আরও পড়ুন

×