- বাংলাদেশ
- বয়সসীমা বৃদ্ধিসহ ৪ দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের সমাবেশ রোববার
বয়সসীমা বৃদ্ধিসহ ৪ দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের সমাবেশ রোববার

প্রতীকী ছবি
সকল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি ও নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি বন্ধ করাসহ চার দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার রাজধানীর শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন চাকরি প্রত্যাশীরা। শনিবার চাকরিপ্রার্থীদের সংগঠন 'সর্বদলীয় চাকরি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ' এর পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করা এবং একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
চাকরি প্রত্যাশীরা জানান, চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্ম দীর্ঘদিন ধরেই করোনার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধির দাবি নিয়ে এক প্রকার অসহায় হয়ে সরকারি দপ্তর থেকে দপ্তরে এবং মিডিয়া হাউজগুলোতে ঘুরছি। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই কর্মসূচিতে আমরা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, জনাপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এবং জনপ্রশাসন, মুখ্যসচিব প্রমুখ বরাবর স্মারকলিপি ও খোলা চিঠি প্রদান করেছি।’
গত বছরের ১৯ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘ব্যাকডেট’ এর মাধ্যমে বয়স ছাড়ের প্রজ্ঞাপনকে প্রহসনমূলক আখ্যা দিয়ে তারা বলেন, ‘এটি সকল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক পদ্ধতি রূপে প্রতীয়মান হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ব্যাকডেট দিয়ে বয়স সমন্বয় করায় শুধুমাত্র যাদের বয়স ৩০ বছরের বেশি শুধু তারাই উপকৃত হচ্ছেন এবং ২১ মাসের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি ৪ মাস কারণ ব্যাকডেট এর বয়স ২৫ মার্চ ২০২০ হং নির্ধারন করে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত মোট ২১ মাস সময় ধরা হলেও এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় অক্টোবর ২০২১ এবং কার্যকর হয় সেপ্টেম্বর ২০২১-এ, এবং হাতেগোনা কয়েকটি বিজ্ঞপ্তিতে সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরির। ব্যাকডেট দেওয়ার মাধ্যমে সকল বয়সী শিক্ষার্থী তথা চাকরি প্রত্যাশিদের ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। তাই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।’
চাকরিপ্রার্থীরা আরও বলেন, ‘ব্যাকডেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হচ্ছে শুধু সেই নিয়াগে বিজ্ঞপ্তি এই নিয়মের আওতায় আসবে যে সকল নিয়াগে বিজ্ঞপ্তি করোনাকালীনে হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু এখনও তা প্রকাশিত হয়নি। বিগত ১৭ মাসে যে অল্প কিছু সংখ্যক নিয়াগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিলো সেগুলোর অধিকাংশ গুলোতেই এই ব্যাকডেট পদ্ধতি না থাকায় আবারও ৩০ এর উপরে চাকরি প্রত্যাশীরা আবেদন করার সুযাগে পায়নি। আসন্ন সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রকাশিতব্য সকল নিয়াগে বিজ্ঞপ্তিতেও চাকরি প্রত্যাশীরা আবেদন করতে পারবে না, উল্লেক্ষিত নিয়মের বেড়াজালের কারণে। তাই আগামী সার্কুলারে এই চলমান ব্যাকডেট এর আওতায় এনে ছাত্র সমাজের অধিকারকে প্রাধান্য দেওয়া যথার্থ যৌক্তিক বলে মনে করছি এবং স্থায়ীভাবে বয়স বৃদ্ধি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। যা এখন সময়ের সবচেয়ে ন্যায্য দাবি।’
মন্তব্য করুন