- বাংলাদেশ
- ইসি নিয়োগ আইনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ৬ সুপারিশ
ইসি নিয়োগ আইনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ৬ সুপারিশ

ছায়া সংসদের অতিথিদের সঙ্গে বিতার্কিকরা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২কে জনবান্ধব ও সুশাসনের সহায়ক করতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ৬ দফা সুপারিশ দিয়েছেন।
এসব সুপারিশ হলো-
১। ইসি গঠনে সার্চ কমিটিতে সংসদে সরকারি দল, বিরোধী দল ও সংসদ সদস্য সংখ্যার ভিত্তিতে তৃতীয় প্রতিনিধিত্বকারী দলের একজন করে সংসদ সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা
২। নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে সম্পৃক্ত সুশীল সমাজের ব্যক্তি, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ইসি গঠনে তাদের সুপারিশ গ্রহণ
৩। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিরূপণের মেকানিজম আইনের অন্তর্ভূক্ত রাখা। যাতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অবস্থান সমুন্নত রাখার মতো সৎসাহস ও দৃঢ়তাসম্পন্ন ব্যক্তিরা নির্বাচন কমিশনে অন্তর্ভুক্ত হন
৪। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সার্চ কমিটি যেসব ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করবে, সেসব নাম ও তাদের জীবনবৃত্তান্ত ওবেসাইটে প্রকাশ করা। যাতে তাদের সম্পর্কে গুরুতর কোনো অভিযোগ থাকলে তা নাগরিকরা জানাতে পারে
৫। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনাররা আর্থিক অনিয়ম, অনৈতিক কাজে সম্পৃক্ততা এবং পক্ষপাতমূলক নির্বাচন করলে কি ধরনের শাস্তি প্রযোজ্য হবে নির্বাচন কমিশন আইনে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা উল্লেখ এবং
৬। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের অনিয়ম বা অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে কোনো রকম বিশেষ শিথিলতা বা ইনডেমনিটির বিধান না রাখা।
শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে এফডিসিতে ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে তিনি এসব সুপারিশ তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, নির্বাচন কমিশন, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপর ভিন্নমতের রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থার অভাব রয়েছে। নির্বাচনকালে গ্রেপ্তার, মামলা, কালো টাকার ব্যবহার, পেশিশক্তি, ভিন্নমতের মানুষদের ওপর চাপ সৃষ্টি, প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তা বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান কে এম নুরুল হুদা কমিশন আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে ভালো নির্বাচন করতে পারতো। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তাই ভালো নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি জোরালো হচ্ছে। নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন হচ্ছে জনগণ, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী। নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর সাধারণ মানুষের আস্থা না থাকলে নির্বাচনব্যবস্থা প্রশ্নের মুখোমুখী হয়। তাই আগামী নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলসমূহের মতামতকে বিবেচনায় নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া তিনি নির্বাচনকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির জন্য অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাইয়িদ এবং ড. এ.টি.এম. শামসুল হুদার নাম প্রস্তাব করেন।
ছায়া সংসদে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকদের পরাজিত করে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক আরাফাত আলী সিদ্দিক ও সাংবাদিক আতিকা রহমান।
মন্তব্য করুন