ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শাবির শিক্ষার্থীদের

আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শাবির শিক্ষার্থীদের

আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার কথা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন শাবির শিক্ষার্থীরা। ছবি: ইউসুফ আলী

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২২ | ০৯:৪৮ | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২২ | ১৩:৪০

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে অনশনরত শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদিন বলেন, আমাদের সহযোদ্ধারা আমাদের এই অবস্থা দেখে অনুরোধ জানান, অনশন ভেঙে ফেলার। কিন্তু আমরা অনশনরত শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিই যে, আমরা অনশন ভাঙবো না। আমরা এ উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবো এবং চেষ্টা করবো।

শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা ও খাদ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য ফান্ড সংগ্রহের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটকের নিন্দা জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা আমাদের ক্যাম্পাসে কোনো প্রয়োজনে বড় ভাইদের কাছে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা চাই। এখন আমাদের চিকিৎসা এবং খাদ্যের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য সহযোগিতা করা অন্যায় নয়। আমরা বড় ভাইদের আটকের ঘটনার নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে তাদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। 

এর আগে ভিসিবিরাধী আন্দোলনের নেতা মোহাইমিনুল বাশার বলেছিলেন, আমরা আমাদের সহযোদ্ধাদের কষ্ট মেনে নিতে পারছি না। আমরা তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চাই না। আন্দোলনের জায়গা থেকে তাই অনশন ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।  অনশন ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বিপুল উদ্দীপনায় আন্দোলন চালিয়ে যাব আমরা।

১৭ জানুয়ারি থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার থেকে একই স্থানে অনশন শুরু করেন ২৪ শিক্ষার্থী। বাসবভনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ার কারণে ১৭ জানুয়ারি থেকেই কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

এর আগে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলন শুরু হয়। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালায়। এর পর থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছে।

আরও পড়ুন

×