কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার ফোকাল থিম কান্ট্রি বাংলাদেশের লোগোর আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা প্রেসক্লাবে বইমেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ লোগোর উন্মোচন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। 

লোগোতে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি। প্রতিপাদ্য করা হয়েছে-‘সৃজনে মননে মানবিক দেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশ’।

করোনা আবহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। মেলা চলবে ১৩ মার্চ পর্যন্ত করুণাময়ীর সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গণে। এবারের বইমেলা উৎসর্গিত হচ্ছে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীকে ঘিরে।

সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান, আয়োজক সংস্থা পাবলিসার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি শেখর দে, সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টপাধ্যায়সহ অন্যান্য অতিথিরা। 

কামাল চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গে ভারতের সরকার এবং জনগণ গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ বইমেলার আয়োজন ইতিহাসের এক অনন্য সাধারণ অংশ।’ 

তিনি বলেন, ‘কবিতায়, শিল্প-সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু যেন একটি চিরন্তন প্রেরণা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।’ 

তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং কলকাতা বইমেলার আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ বইমেলা বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে । বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে উপজীব্য করে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হবে বলে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

বইমেলার আয়োজক সংস্থার সভাপতি সুধাংশ শেখর তার বক্তব্যে জানান, এবারের বইমেলায় মোট স্টল থাকবে ৬০০ এর বেশি। এছাড়া লিটল ম্যাগাজিনের সংখ্যা ১৮০ থেকে বাড়িয়ে ২০০টি স্টল করা হয়েছে। কলকাতা বইমেলায় প্রধান ৪টি প্রবেশদ্বারের মধ্যে ৩টি দেয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। এই তিনটি প্রবেশদ্বার সাজানো হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত ৩টি বই বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং ‘আমার দেখা নয়া চীন’-এর আদলে। 

বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের আকৃতি হবে প্রায় ৬০০ বর্গফুট। ৫০টি স্টলে সরকারি বেসরকারি মোট ৪২টি প্রকাশনাসংস্থা অংশগ্রহণ করবে, সব মিলিয়ে বই থাকবে ১০ হাজারের বেশি।

৩ এবং ৪ মার্চ কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ দিবস উদযাপিত হবে। ৬ মার্চ শিশু দিবস উদযাপন ছাড়াও ১১ এবং ১২ মার্চ কলকাতা সাহিত্য উৎসব উদযাপনের কথা রয়েছে।

কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ছাড়াও থাকছে ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, ইরান এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলো।