কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম যেভাবে বেড়েছে, সে জন্য যে পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হবে তার চাপ সরকার নিতে পারছে না। এদিকে সারের দাম বাড়ালে কৃষকের উৎপাদন খরচ ও পণ্য মূল্য বেড়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় সারের দাম বাড়ানো অথবা ভর্তুকি দেওয়া নিয়ে সরকার উভয় সংকটে পড়েছে। যদিও মন্ত্রণালয় মনে করে এখনই দাম বাড়ানো উচিত হবে না। 

সোমবার সারের মজুদ, দাম ও ভর্তুকিসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আয়োজিত  সংবাদ  সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ভর্তুকি কোথা থেকে আসবে এ বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। একদিকে এত ভর্তুকি দিলে অন্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে, অন্যদিকে সারের দাম বাড়ালে কৃষকের কষ্ট বাড়বে; উৎপাদন খরচ বাড়বে। খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে ও খাদ্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে সারের ভর্তুকি বাবদ এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। কিন্তু বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজার দর অনুযায়ী অর্থবছর শেষে আঠাশ হাজার কোটি টাকায় ঠেকবে। বাড়তি যে ভর্তুকি লাগবে তা দিতে অর্থ বিভাগ অপারগতা প্রকাশ প্রকাশ করেছে।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে বিষয়টি ভাবার জন্য অনুরোধ জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার সবসময় কৃষকের পক্ষে। সরকার কোনো ভাবেই চায় না খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হোক। কিন্তু পরিস্থিতি সামলাতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হতে পারে।