- বাংলাদেশ
- মিথ্যা পরাভূত হয়েছে, দুঃস্বপ্ন কেটে গেছে: শাবি উপাচার্য
মিথ্যা পরাভূত হয়েছে, দুঃস্বপ্ন কেটে গেছে: শাবি উপাচার্য

শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের পরও স্বপদে টিকে যাওয়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ যদি ন্যায্য দাবি নিয়ে আসেন তবে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন তিনি।
শাবিপ্রবির ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে। উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সোমবার এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আপনারা দেখতে পেয়েছেন সত্য এবং ন্যায় আজকে বিজয়ী হয়েছে, ঠিক আছে। মিথ্যা আজকে পরাভূত হয়েছে। দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে এমন একটি আলোকোজ্জ্বল দিন এসেছে, এতে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
‘অন্যায় আবদার’ করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাথা নত করবে না-সাফ জানিয়ে দিয়ে তিনি এদিন বলেন, ‘একজনও যদি ন্যায্য কথা বলে তাহলে আমরা গুরুত্ব দিয়ে এটা সমাধানের ব্যবস্থা করবো। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করি নাই, ভবিষ্যতেও করব না। আমরা ন্যায় এবং সত্যের পথে থাকব।’
শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থী ভুল করতে পারে কিন্তু শিক্ষকরা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে। তোমরা আমাদের সন্তান, অভিভাবক হিসেবে আমরা কাজ করে যাব। শিক্ষার্থীদের ভয় পাওয়ার কিছু নাই, শিক্ষকরা অভিভাবকের জায়গা থেকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে।’
তিনি এদিন জানান, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে শতভাগ ছাত্রী হলে থাকতে পারবে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের ম্যধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য। পরে গোলচত্বরে বেলুন উড়ান।
উপাচার্যের নেতৃত্বে গোল চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোল চত্বরে এসে শেষ করেন এবং দিসব উপলক্ষে কেক কাটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এসময় বিশ্ববিদ্যায়য়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যায়ল দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমেনা পারভীন, প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইলসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে উপাচারে্যর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন। তারা আলাদাভাবে ক্যাম্পাস চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেন।
মন্তব্য করুন