অপহরণ করে কলেজছাত্র মিঠু হোসেনকে হত্যার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো- গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মিঠালু গ্রামের পিয়ার উদ্দিনের মেয়ে শাহনাজ আক্তার পপি, তার স্বামী আবদুল বাতেন এবং একই এলাকার তাপন খান। গত শনিবার শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের হুগলিয়াপাড়ার রুপচান মিয়ার বাড়ির খড়ের গাদার নিচ থেকে মিঠু হোসেনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রায়পুর এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি সিরাজগঞ্জের ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার পপির ফেসবুককেন্দ্রিক একটি প্রতারক চক্র রয়েছে। পপি ছদ্মনামে মেয়েদের ছবি দিয়ে একাধিক ফেসবুক আইডি চালানো হয়। বিভিন্ন উঠতি বয়সী তরুণদের টার্গেট করে তাদের সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা হয়। প্রেমের ফাঁদে ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে দেখা করতে প্রলুব্ধ করা হয়। কেউ দেখা করতে গেলে তার সহযোগী হানিফসহ ৩-৪ জন প্রতারক আটকে রেখে মারধর ও মুক্তিপণ দাবি করে।

পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম বলেন, কলেজছাত্র মিঠুকে গত বুধবার মনোহরদীতে দেখা করার জন্য ডেকে আনে প্রতারক পপি। পরে মিঠুকে তুলে নিয়ে শিবপুর উপজেলার আশুটিয়া পূর্বপাড়া এলাকায় আটকে রেখে মারধর করে পপির সহযোগীরা। মিঠুর অভিভাবকদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে মিঠুকে হত্যা করে মরদেহ খড়ের গাদার নিচে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন মিনু আক্তার মনোহরদী থানায় হত্যা মামলা করেছেন।