- বাংলাদেশ
- হাদিসুরের মরদেহ ইউক্রেন থেকে মলদোভায়
হাদিসুরের মরদেহ ইউক্রেন থেকে মলদোভায়

প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের এই ছবি এখন শুধুই স্মৃতি - সংগৃহীত
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের মরদেহ ইউক্রেন থেকে মলদোভায় নেওয়া হয়েছে।
পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন শুক্রবার বিকেলে সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ইউক্রেনে নিহত নাবিক হাদিসুরের মরদেহ শুক্রবার সকালে ইউক্রেন সীমান্ত অতিক্রম করে মলদোভায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে মরদেহ রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত জানান, বুখারেস্টে মরদেহ পৌঁছানোর পর সেখান থেকে দেশে পাঠানো হবে।
তবে ঠিক কখন তার মরদেহ দেশে পৌঁছাবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে এক পোস্টে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও হাদিসুর রহমানের মৃতদেহ ইউক্রেন থেকে মালদোভায় পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি পোস্টে লিখেছেন, 'আশা করছি সকাল নাগাদ রুমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছাবে। সেখানে কিছু দাপ্তরিক কাজ শেষে ১৩-১৪ তারিখ বাংলাদেশে পৌঁছাবে।'
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) মালিকানাধীন বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। ভারতের মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে। সেখান থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল জাহাজটির।
তবে এর মধ্যেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে অলভিয়া সমুদ্রবন্দরে ২৯ জন নাবিক নিয়ে জাহাজটি আটকে পড়ে। গত ২ মার্চ জাহাজটিতে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। সাগরের ওই বন্দর এলাকায় রাশিয়া মাইন পুঁতে রাখায় জাহাজটি বের করা যাচ্ছিল না। যুদ্ধক্ষেত্রে গোলাগুলির মধ্যে নাবিকদের প্রতিটি মুহূর্ত কাটে চরম আতঙ্কে। এই অবস্থায় উদ্ধার পেতে সরকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিএসসি'র প্রতি আকুতি জানান আটকে পড়া নাবিকেরা।
পরদিন ৩ মার্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেয়া হয়। জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরপরই পণ্যবোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেয় শিপিং করপোরেশন। শেষ মুহূর্তে পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অলভিয়া বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে নানা প্রচেষ্টার পর বাংলার সমৃদ্ধির ২৮ নাবিক বুধবার দেশে ফেরেন।
মন্তব্য করুন