- বাংলাদেশ
- বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে ব্যক্তিস্বার্থ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: দুদক চেয়ারম্যান
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে ব্যক্তিস্বার্থ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: দুদক চেয়ারম্যান

দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধু নিজের জন্য কিছুই করেননি। তিনি যা করেছেন, সবই দেশের জন্য করেছেন। দেশের জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করেছেন।’
বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত আলোচনা সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এ কথা বলেন।
সভায় পচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকের হাতে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যের রুহের মাকফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষের আলোচনা সভায় চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক, দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন। দুদকের মহাপরিচালক, পরিচালক, উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তার জন্ম না হলে দেশের মানুষ বাংলাদেশ পেত না, বাংলাদেশের অভ্যুদয় হত না। বঙ্গবন্ধু দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ছিলেন। তিনি শিশুদের শিক্ষা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে সুপরিকল্পিত উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
জাতিসংঘ কর্তৃক শিশু অধিকার সনদ গ্রহণের অনেক আগেই বঙ্গবন্ধু শিশুদের জন্য আলাদা আইন করেছিলেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনী ইশতেহারে শিশু শিক্ষার কথা উল্লেখ করেছিলেন, যা তিনি ১৯৭৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছিলেন।
কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেন, বঙ্গবন্ধু না জন্মালে আমাদের অবস্থা অন্যরকম হতে পারত। আমরা এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না। তিনি বঙ্গবন্ধুর শৈশবকে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুকাল থেকে মানবদরদী ও প্রতিবাদী ছিলেন। পরিবার থেকে রাজনীতি, সমাজ থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর মানবতার দর্শন উল্লেখযোগ্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করলে আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারব।
কমিশনার জহুরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন দেশে আমরা বিচারক হতে পেরেছি, আমরা বড় আমলা হতে পেরেছি, বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হতে পেরেছি। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে এসব সম্ভব ছিল না। তাতে অনেকে লাভবান হয়েছে। কিন্তু সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আগের মতোই কাজ করে যাচ্ছেন। সেজন্য আমাদের বেশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, উপদেশ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনে ধারণ না করলে শুধু কথায় বলে কোনো লাভ হবে না। বঙ্গবন্ধু দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। সবাইকে নিয়ে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করতে চেয়েছিলেন।
এছাড়া দিবসের তাৎপর্য নিয়ে বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন দুদক মহাপরিচালক (লিগ্যাল), বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালকরা।
মন্তব্য করুন