- বাংলাদেশ
- শিক্ষার্থীদের ডাটা এন্ট্রিতে জটিলতা ব্যানবেইস দুষছে শিক্ষকদের
শিক্ষার্থীদের ডাটা এন্ট্রিতে জটিলতা ব্যানবেইস দুষছে শিক্ষকদের

ছবি: ফাইল
সরকার ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য 'ইউনিক আইডি' তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত সব তথ্য সন্নিবেশিত থাকবে। তবে যেসব শিক্ষার্থীর বাবা-মা আর বেঁচে নেই অথবা তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে, তারা ইউনিক আইডির ডাটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) আইইআইএমএস প্রকল্পের উপপরিচালক ড. নাসির উদ্দিন গনি সমকালকে বলেন, 'আমরা ইউনিক আইডির কাজটা যতটা সহজ করা যায়, সেই চেষ্টায়ই করেছি। আমাদের ওয়েবসাইটের নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা আছে যেসব শিক্ষার্থীর বাবা-মা দুজনই বেঁচে আছেন, তারা দুজনের এনআইডি নম্বর দেবে। যাদের বাবা আছেন তারা বাবার, যাদের মা আছেন তারা মায়েরটা দেবে। মোটকথা একজনেরটা দিলেও হবে। যাদের বাবা-মা দুজনের কেউই নেই তারা যেকোনো একজন নিকটাত্মীয়ের এনআইডি নম্বর দিলেই হবে।'
তিনি বলেন, তারা প্রশিক্ষণের সময় বারবার শিক্ষকদের বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তখন তাদের মনোযোগের ঘাটতি ছিল। তা না হলে ইউনিক আইডির রেজিস্ট্রেশনে বাবা-মা দুজনের এনআইডি নম্বর না দিলে শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না এমন ভুল তথ্য দিতেন না।
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ইউনিক আইডি তৈরি কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেলেও এখন তা আবার পুরোদমে চলছে। এর অংশ হিসেবে ইউনিক আইডির সফটওয়্যারে শুরু হয়েছে ডাটা এন্ট্রির কাজ। এ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে তথ্যছক পূরণের কার্যক্রম চলছে।
মন্তব্য করুন