সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘গুণীজনরা রাষ্ট্রকে আলোকিত করে, সঠিক পথ দেখায়। একুশে পদকপ্রাপ্ত তেমন একজন গুণীজন ড. মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি তার মেধা, মনন, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রকে আলোকিত করেছেন। তার মত গুণিজন যুগে যুগে জন্মায় না, শতবর্ষে একজন জন্মায়।’

প্রতিমন্ত্রী আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হলদিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজ্ঞান ও গবেষণায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের একুশে পদক-২০২২ প্রাপ্তি উপলক্ষে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও গবেষণা কেন্দ্র 'অবারিত বাংলা' আয়োজিত 'নাগরিক সংবর্ধনা' প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

প্রধান অতিথি বলেন, ‘গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী সবসময় গবেষণার ওপর জোর দিয়ে থাকেন। আমরা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট গবেষক ও বিজ্ঞানী ড. মো. আনোয়ার হোসেনকে একুশে পদক প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত।’ সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ড. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত এবং জীবন রহস্য উন্মোচিত হয়। স্বল্প খরচে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য তিনি 'সাইবার গ্রিন' পদ্ধতি ব্যবহার করে নতুন একটি প্রটোকল তৈরি করেছেন।’

'অবারিত বাংলা'র ভাইস চেয়ারম্যান অলক কুমার মিত্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন।

স্বাগত বক্তৃতা করেন অবারিত বাংলা'র গবেষণা প্রকল্প সম্পাদক মনির মোরশেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল আউয়াল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ শিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামসুল হক বেপারী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বি এম শোয়েব, হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন 'নাগরিক সংবর্ধনা' প্রাপ্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।