- বাংলাদেশ
- সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: সিইসি
সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: সিইসি

সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিলে তা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচনটাকে যদি অবাধ, সুষ্ঠু করা যায় তাহলে সেটা সকলের অংশগ্রহণে হয় সেটা সফলতা হতে পারে। শতভাগ সফলতা হয়ত হবে না; কেউ কেউ বলেছেন ৫০-৬০ শতাংশও যদি গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে সেটাও বড় সফলতা।’
তিনি বলেন, ‘কমিশনকে সাহসী হতে হবে। সাহসের সঙ্গে সততাও থাকতে হবে। জীবনের শেষ প্রান্তে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য বিশিষ্টজনদের পরামর্শ বিবেচনায় নিয়ে সামনে এগোতে চাই।’
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত ধারাবাহিক সংলাপের দ্বিতীয় দফা ৩৭জন বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানান হয়। তবে সংলাপে অংশ নিয়েছেন মাত্র ১৯ জন।
সংলাপে অংশ নিয়ে দেশের বিশিষ্টজনরা বলেছেন, অতীতে দলীয় সরকারের অধীনে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। এর আগে ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে সাতটি নির্বাচন হয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে এবং চারটি নির্বাচন হয়েছে অন্তবর্তীকালীন বা অনির্বাচিত সরকারের অধীনে। এরমধ্যে দলীয় সরকারের অধীনে হওয়া সাতটি নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
টানা দুই ঘন্টারও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে অংশ নিয়ে বিশিষ্টজনরা নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা, ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ব্যবহার না করা, নির্বাচনের সময় মাঠ প্রশাসনকে সরকারের প্রভাবমুক্ত রাখা, নির্বাচনী মাঠে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ এবং সরকারের দিক থেকে প্রতিবন্ধকতা আসলে নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন।
বৈঠক শেষে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সবার মতামত পর্যালোচনা করে অংশগ্রহণমূলক ভোট করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হয়। ভোটাররা ভোট দিতে না পারলে, বাধা এলে, পোলিং অফিসারদের তাড়িয়ে দেন- এমন হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় না। নির্বাচনটা অসম প্রতিযোগিতা হয়ে যায়। ভোটে সহিংসতার ব্যাপকতা থাকলে ভোটাররা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এটা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামের্শ এসেছে।’
বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার দিকে ইঙ্গিত করে সিইসি বলেন, যারা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।
সিইসি বলেন, ‘সরকারি দলের বাড়তি কিছু সুবিধা থাকে। কারণ প্রশাসন, পুলিশ সবই তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইসি তাদের ওপর কতটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে, আইনের কোনো অভাব নেই। কিন্তু প্রয়োগের দিক থেকে বাস্তব ঘাটতি রয়েছে। আইনের প্রয়োজন ভালোভাবে করার চেষ্টা করবেন।’
মন্তব্য করুন