বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে প্রায়শই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দাম হঠাৎ করে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়। এর কারণ হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং অনেক সময় প্রাকৃতিক কারণে উৎপাদন ব্যহত হলে দেশের অভ্যন্তরে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায় বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় সভা, ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্ভাবাস সেল’-এর মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ট্যারিফ এন্ড ট্রেড কমিশন, টিসিবি, এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ ছাড়াও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকাসহ সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অধিদপ্তর প্রত্যেক মাসে সারাদেশে তিনশ এর বেশি বাজার পরিদর্শন ও অভিযান পরিচালনা করছে।

মঙ্গলবার সংসদে পিরোজপুর-৩ আসনের সদস্য রুস্তুম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় সভা, ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্ভাবাস সেল’-এর মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ট্যারিফ এন্ড ট্রেড কমিশন, টিসিবি, এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ ছাড়াও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকাসহ সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অধিদপ্তর প্রত্যেক মাসে সারাদেশে তিনশ এর বেশি বাজার পরিদর্শন ও অভিযান পরিচালনা করছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যের মূল্য নিয়ে কেউ যাতে মনোপলী বা অলিগোপালী অবস্থার সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য প্রতিযোগিতা কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।’

সরকারি দলের সাংসদ এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সম্প্রতি দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

সরকারি দলের সাংসদ শফিউল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সম্প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে পণ্য মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে আসতে শুরু করেছে।’ এসময় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ে আদিবা আনজুম, জাতীয় পার্টির মুজিবুল হকও প্রশ্ন করেন।

জাতীয় পার্টির সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রির মূল্য বৃদ্ধি রোধ করে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিরবিচ্ছিন্নভাবে পদক্ষেপ নিয়ে তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার নানা কার্যক্রম গ্রহণ করায় ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ক্রমশ কমছে। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে ভঅরতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫১২ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলার। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এটি বেড়ে এক হাজার ২৭৯ দশমিক ৬৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ভারতের সঙ্গে কমপ্রিহেন্সিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সম্পাদনের বিষয়ে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সিইপিএ সই হলে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোসহ ভারতে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করবে।