- বাংলাদেশ
- গাজীপুরে সানাউল্লাহ হত্যা: হাইকোর্টে ফাঁসির ৫ আসামিসহ সাতজন খালাস
গাজীপুরে সানাউল্লাহ হত্যা: হাইকোর্টে ফাঁসির ৫ আসামিসহ সাতজন খালাস

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সানাউল্লাহ সরকার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ এবং বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় ঘোষনা করেন।
মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন-কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম, সেলিম শেখ, নয়ন শেখ ও আনোয়ার হোসেন শেখ। যাবজ্জীবন দণ্ড থেকে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আবদুল মোতালেব ও শামসুদ্দিন। এরা দুইজন জামিনে আছেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবুল হোসেন ও গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানান, এই হত্যাকাণ্ডের কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী পাওয়া যায়নি এবং আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। কেবলমাত্র পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে রায় দেন বিচারিক আদালত। এমনকি যে পদ্ধতিতে পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল, সেটাও করা হয়নি। এ কারণে হাইকোর্ট সবাইকে খালাস দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি বশির উল্লাহ সমকালকে জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হবে।
ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে ২০০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের স্কুলপড়ুয়া ছেলে সানাউল্লাহ সরকারকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয় সিংগুয়া ফকির সাহাব উদ্দিন বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে ২০ বছর বয়সী সানাউল্লাহর গলায় মাফলার পেচানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিচার শেষে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০১৬ সালের ৯ আগষ্ট এ মামলায় ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক নারী ইউপিসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
পাশাপাশি আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মীত আপিল করেন। এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আলম শেখ ২০২১ সালে এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আনোয়ারা বেগম ২০১৯ সালে কারাগারে মারা যান। আপিলে হাইকোর্টের রায়ে বাকি আসামিরা সবাই খালাস পেলো।
মন্তব্য করুন