ডিইউজে সভাপতি সোহেল, সম্পাদক আকতার

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নির্বাচনে যায়যায়দিনের সোহেল হায়দার চৌধুরী ও আরটিভির আকতার হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। 

সভাপতি পদে সোহেল পেয়েছেন ৭২৪ ভোট। তার নিকটতম যমুনা টেলিভিশনের সাজ্জাদ আলম খান তপু পেয়েছেন ৬৯০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে আকতার পেয়েছেন ৭৩৬ ভোট। তার নিকটতম জিটিভির মেহেদী হাসান পেয়েছেন ৬৪২ ভোট। নির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদক দুটি প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন।

মঙ্গলবার রাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান মনজুরুল আহসান বুলবুল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। সিনিয়র সহসভাপতি পদে এমএ কুদ্দুস ৬৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম খন্দকার মোজাম্মেল হক পেয়েছেন ৪১৬ ভোট। সহসভাপতি পদে ৫৩৫ ভোট পেয়ে মানিক লাল ঘোষ নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম হেমায়েত হোসেন পেয়েছেন ৫১৭ ভোট। যুগ্ম সম্পাদক পদে বিজয়ী খায়রুল আলম পেয়েছেন ৬৫৫ ভোট। তার নিকটতম আসাদুজ্জামান পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।

কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন আশরাফুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৭২৯ ভোট। তার নিকটতম সোহেলী চৌধুরী পেয়েছেন ৪৯৩ ভোট। ৮৬৪ ভোট পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন এ জিহাদুর রহমান জিহাদ। তার নিকটতম গোলাম মুজতবা ধ্রুব ৭৮৬ ভোট পেয়েছেন। আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে এম সাইফ আলী এবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১০৫৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া পেয়েছেন ৩৪৭ ভোট।

প্রচার সম্পাদক পদে রাজু হামিদ ৭৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম জি এম মাসুদ ঢালী পেয়েছেন ৪৫২ ভোট।

দপ্তর সম্পাদক পদে বিজয়ী আমানউল্লাহ আমান পেয়েছেন ৭২০ ভোট। তার নিকটতম শাহনাজ পারভীন এলিস ৬৩৯ ভোট পেয়েছেন। কল্যাণ সম্পাদক হয়েছেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ৭৬৪ ভোট পেয়েছেন তিনি। তার নিকটতম সমীরণ রায় পেয়েছেন ৫৫২ ভোট। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন সাকিলা পারভীন। তিনি ৮৮১ ভোট পেয়ে এম. জহিরুল ইসলামকে পরাজিত করেছেন। জহিরুল পেয়েছেন ৫৯১ ভোট। নারীবিষয়ক সম্পাদক পদে সুরাইয়া অনু ৭০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম দীপা ঘোষ রীতা পেয়েছেন ৫৩৪ ভোট।

নির্বাহী সদস্য পদে মুজিব মাসুদ (৬৭৫), দুলাল খান (৬৪৪), ইব্রাহিম খলিল খোকন (৬২৪), আসাদুর রহমান (৬০৭), সলিম উল্লাহ সেলিম (৬০৬), আনোয়ার হোসেন (৫৯২), মহিউদ্দিন পলাশ (৫৪৫) ও রেহেনা পারভীন (৪৮৩) নির্বাচিত হয়েছেন। 

জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সকাল ৯টায় নির্বাচন শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৬টায়। নির্বাচনে ২১টি পদে তিনটি প্যানেল ও বিভিন্ন পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোট ৭১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ৮টি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ২২ জন। দুই হাজার ৯৬৮ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৯২৭ জন ভোট দেন।