- বাংলাদেশ
- লেখনির মাধ্যমে ইতিহাস বিকৃতি রোধ করতে হবে: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি
লেখনির মাধ্যমে ইতিহাস বিকৃতি রোধ করতে হবে: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি

বাংলার স্থপতি গ্রন্থের ওপর আলোচনা সভায় প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, 'যখন অনেক কিছু অপসংস্কৃতির মধ্যে ঢুকে যায়, ইতিহাস বিকৃতির মধ্যে ঢুকে যায়; সেই সময় ইতিহাস চর্চা, লেখকের শক্তিমত্তাই মূলত প্রকৃত সত্যের কাছে পৃথিবীর সকল মানুষকে সম্মিলিতভাবে নিয়ে যেতে পারে। এটিই হচ্ছে লেখা ও লেখকের শক্তি। লেখনিতে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের মাধ্যমে ইতিহাস বিকৃতি রোধ করতে হবে।' বুধবার গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সিনেট হলে জাতীয় বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত 'বাংলার স্থপতি' শীর্ষক গ্রন্থের ওপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউটের গবেষকদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আরও গভীর অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে জানতে হবে। মাঝে মাঝে চ্যালেঞ্জ আসে। সেই চ্যালেঞ্জে অনেক ক্যারিশমেটিক লিডারদের অবদান কখনো কখনো সীমিত করার প্রয়াস চলে। ইতিহাসের শিক্ষার্থী, একজন গবেষক ও লেখকের উচিত সেই সময়ে ক্ষুরধার লেখনীর মধ্য দিয়ে প্রকৃত সত্য ধারণ করে সেই প্রসঙ্গ নিয়ে আসা।
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে এই বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন। জাতিরাষ্ট্র তৈরিতে তিনি চার মূলনীতি তৈরি করেছেন। যেটি বাঙালির জন্য অপরিহার্য ছিল। এই বাংলার শক্তি- বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা। এই চার মূলনীতির মধ্যে যদি বাংলাদেশ থাকে, তাহলে তার স্থায়িত্ব, সৌন্দর্য, অবিনাশী সুর যেমন থাকবে, তেমনি ওই রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিটি নাগরিক আত্মসম্মানের সাথে বেঁচে থাকবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহীনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বইয়ের লেখক অ্যালভীন দীলিপ বাগ্চী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন