জনশুমারির কেনা-কাটায় অনেক হোঁচট খেতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। জনশুমারির ও গৃহগণনা বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিতকরণ বিষয়ক এক কর্মশালায় এ ব্যাখ্যা দিয়েছেন মন্ত্রী।

বুধবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ ব্যাখা দিয়েছেন মন্ত্রী।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

তিনি বলেন, ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির প্রত্যক্ষানের কারণে তিন বার তাদের কাছে যেতে হয়েছে। কমিটিকে বোঝাতে হয়েছে। এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে সময়ে অবহিত করা হয়েছে। শেষপর্যন্ত সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কেনাকাটার কাজ শেষ করা হয়েছে। একারণে জনশুমারির ও গৃহগণনার মত গুরুত্বপুর্ন প্রকল্প সময় মত শুরু করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত বছর ২৩ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ পরিচালনার কথা ছিল। প্রকল্পের তথ্য সংগ্রহে তিন লাখ ৯৫ হাজার ইলেক্ট্রনিপ ট্যাব কেনার কথা। তবে পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রস্তাব করা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ট্যাব কিনতে সম্মতি দেয়নি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

এজন্য বিবিএস ৫৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। একই মানের ট্যাব ৪০২ কোটি টাকায় সরবরাহ করার প্রস্তাব করেছে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে শেষ পর্যন্ত তিন দফা প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব ফেরত পাঠায় ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় প্রতিষ্ঠাটিই ট্যাব সরবরাহের কাজটি পেয়েছে। গত ২২মার্চ এ সংক্রান্ত চুক্তি সইয়ের পর প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার কাজটি করছে বিবিএস।
পরবর্তীত তারিখ অনুযায়ী আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন শুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ১৪ জুন দিবাগত রাত ১২টা শুমারির রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ১৪ জুনের আগেই এ বিষয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত ডাক টিকেট উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।