- বাংলাদেশ
- সেরা ডিজিটাল সিটিজেন হলেন ২০ জন
ডিজিটাল সিটিজেনশিপ চ্যালেঞ্জ
সেরা ডিজিটাল সিটিজেন হলেন ২০ জন

‘ডিজিটাল সিটিজেনশিপ চ্যালেঞ্জ’র ফাইনাল রাউন্ড আড়ম্বরপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে ২৬০ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে সেরা ডিজিটাল সিটিজেন হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন ২০ জন। তাদের প্রত্যেকে পাচ্ছেন একটি করে আকর্ষণীয় ট্যাব। এছাড়া সার্টিফিকেট, কলম, ডায়েরি, টি-শার্ট, মাস্ক, কাপড়ের ব্যাগ ও পাটের ফোল্ডার পাচ্ছেন উপহার সামগ্রী হিসেবে।
আজ মঙ্গলবার ফেসবুক লাইভে আকর্ষণীয় এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন প্রায় ছয় হাজার দর্শক। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিনেট।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থায়নে ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম (এফএনএফ বাংলাদেশ) যৌথভাবে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ে কাজ করছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রচার করতে তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ডিজিটাল সিটিজেন হতে সহায়তার জন্য তারা একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর অধীনেই বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল সিটিজেনশিপ চ্যালেঞ্জ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এই চ্যালেঞ্জে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রকল্পের ওয়েবসাইটে (https://www.digitalcitizenbd.com) আটটি কোর্সের কুইজে অংশগ্রহণ করেন তারা। কুইজ বিজয়ী ১৬০ জন এবং ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রির মাধ্যমে আরও ১০০ জন প্রতিযোগিতার ফাইনাল গালা রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। তাদের মধ্য থেকেই নির্বাচিত হলেন সেরা ২০ ডিজিটাল সিটিজেন। আজ অনুষ্ঠানে প্রতিযোগী ছাড়াও শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সমাজের প্রতিনিধি, নীতিনির্ধারক, গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গালা রাউন্ডে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
অনুষ্ঠানে তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান এফএনএফ বাংলাদেশ থেকে কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ নাজমুল হোসেন এবং বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ডিনেট থেকে নির্বাহী পরিচালক এম শাহাদাৎ হোসেন। অনুষ্ঠানটিতে সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন ডিনেটের পক্ষ থেকে ইলমা হক।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন বলেন, তরুণরা ডিজিটালে খাপ খাইয়ে নিয়ে আজ দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। যারা ডিজিটাল কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত নেই তারা কিন্তু অনেকটাই পিছিয়ে। তারা পিছিয়ে থাকলে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হবে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি মানুষকে, বিশেষ করে যুব সমাজকে এই ডিজিটাল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে এর বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সচেতনতা, ইন্টারনেটে সুরক্ষা, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে স্বাধীন মতপ্রকাশ, ডিজিটাল আইন, ডিজিটাল অপরাধ, অনলাইনে ব্যক্তি পরিচয়, মিথ্যাচার ও ভুল খবর প্রচার এবং এ সংক্রান্ত আরও অনেক বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
লাইভ ইভেন্টটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
মন্তব্য করুন