সারাদেশে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টার একটি ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক সকালে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার খোঁজ-খবর নেন।

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক প্রফেসর এনায়েত হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, অতিমারিকালীন আমরা একদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি, অন্যদিকে প্রতি বছরই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর যাতে শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য কাজ করেছি। আজকের পরীক্ষাটিও সুশৃঙ্খলভাবে নেওয়াসহ পরীক্ষায় কোনোরকম অনিয়ম যাতে না হয় সেজন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে এবছর প্রশ্নপত্র বিতরণ হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে।

পরীক্ষা-সংক্রান্ত এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষার সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত ২০০ নম্বরসহ মোট ৩০০ নম্বরের মাধ্যমে সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের জন্য ৫৪৫ জন শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে।

উল্লেখ্য, এই পরীক্ষায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রতি আসনের বিপরীতে ১২১ জন করে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। আর মোট আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী রয়েছেন ৩৩.৮ জন।

এছাড়াও মে মাসের কলেরার টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলেরা ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি এলাকায় টিকা দেওয়া হবে। টিকা কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে বলেও গণমাধ্যমকর্মীদের জানান মন্ত্রী। করোনার সময় কাটিয়ে ওঠে স্বাভাবিকভাবেই ফিরছে সবকিছু। যারা এখনো টিকা নেয়নি তাদের সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।