ঈদের কেনাকাটায় অনেকেরই পছন্দ বিদেশি ব্র্যান্ডের পণ্য। এজন্য উচ্চবিত্তদের অনেকে সরাসরি বিদেশেই চলে যান কেনাকাটা করতে, অনেকে আবার দেশেই খোঁজেন বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্য। তাদের জন্য রয়েছে রাজধানীর নয়াপল্টনের পলওয়েল সুপার মার্কেট, পল্টন চায়না টাউন আর গাজী ভবন শপিং সেন্টারের অধিকাংশ দোকানেই বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের সম্ভার।

চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, স্পেন, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আনা পণ্যে ঈদবাজারের পসরা সাজিয়েছেন এই ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, গুণগত মান আর বৈচিত্র্যময়তার কারণে এ মার্কেটে সারা বছরই বিদেশি পণ্যের চাহিদা থাকে। তবে ঈদে এ চাহিদা আরও বাড়ে।

পল্টনের এ তিন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, শিশু-কিশোর এবং তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন পোশাক থ্রিপিস, শর্ট ও লং লেহেঙ্গা, বোম্বের পাঞ্জাবি, পাকিস্তানি থ্রিপিস এবং ছেলেদের শার্ট, জুতা, কেডস আর মেয়েদের জুতা-স্যান্ডেলে সাজানো পুরো মার্কেট। রয়েছে গহনা ও প্রসাধনীও। ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা পণ্য রয়েছে এ তালিকায়।

পলওয়েল মার্কেটের মদাই ইতালির ম্যানেজার মো. মুসলিম বলেন, গুণগত মানের কারণে বিদেশি পণ্যে ক্রেতাদের আগ্রহ রয়েছে। আপএনটপ শোরুমে সাজানো হয়েছে শার্ট, প্যান্ট আর পাঞ্জাবি দিয়ে। মুম্বাই থেকে আনা ভিরা নিমন্ত্রণসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও ডিজাইনের পাঞ্জাবি এখানে বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। এ দোকানের মালিক খন্দকার হেলাল উদ্দিন বলেন, করোনাকালীন দুর্ভোগে অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে ব্যবসা ধরে রেখেছি।

এবার আশা করছি, ঘুরে দাঁড়াতে পারব। আমার দোকানে ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা দামের জিন্স প্যান্ট রয়েছে। শার্ট রয়েছে ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা দামের। তবে দামের কারণে নয়, পণ্যের মানের কারণেই ক্রেতারা এই মার্কেটে ভিড় জমান। আমরাও তাদের চাহিদা মতো পণ্য আমদানি করি।

কলেজ শিক্ষক শামীমা বেগম বলেন, ছেলের জন্য ঈদের কেনাকাটা করব। এই মার্কেটে ভালোভাবে কেনাকাটা করার সুযোগ রয়েছে। প্রতিবছর ঈদে এখানেই আসি। এবার ছেলের জন্য ভালো বিদেশি টি-শার্ট খুঁজছি।

চায়না থেকে আনা প্যান্ট কিনতে আসা ব্যবসায়ী কামাল আহমেদ বলেন, দেশি অনেক ভালো ব্র্যান্ড আছে। কাপড়ও ভালো। কিন্তু এখানে কোনো ব্র্যান্ড একটু পরিচিতি পেলেই কাপড় আর ভালো দেয় না। তাই বিদেশি কাপড় খুঁজি। পলওয়েল মার্কেটের বিপরীতে চায়না টাউন মার্কেট। এ মার্কেটেও বিভিন্ন দেশ থেকে আনা বিদেশি পণ্য মেলে।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুল উদ্দিন প্রধান বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ব্যবসায় মন্দা গেছে। এখন সেটি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। ঈদ উপলক্ষে সাধারণ ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। মার্কেট আবার জমে উঠেছে।

বিষয় : ঈদের কেনাকাটা বিদেশি ব্র্যান্ডের পণ্য শপিং সেন্টার

মন্তব্য করুন