- বাংলাদেশ
- আদালত থেকে পালালেন ফাঁসির আসামি
আদালত থেকে পালালেন ফাঁসির আসামি

রাজধানী ঢাকার জেলা জজ আদালতের হাজতখানা থেকে ফাঁসির আসামি বাদশা মিয়া পালিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি পালিয়ে যান।
পুলিশ হেফাজত থেকে চোখ ফাঁকি দিয়ে হত্যা মামলার আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আদালতপাড়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আইনজীবীদের অভিযোগ, পুলিশের গাফিলতির কারণে হত্যা মামলার আসামি পালিয়ে গেছে।
বাদশা মিয়া মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের কলেজছাত্র মনির হোসেন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।
ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কোর্ট পরিদর্শক মতিয়ার রহমান মিয়া বলেন, শুনেছি পালিয়ে যাওয়া আসামি বাদশা মিয়ার হাতকড়া একটু ঢিলা ছিল। দায়িত্বে অবহেলার দায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ২ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মামলা করারও প্রস্তুতি চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাদশা মিয়াকে যখন আদালতে হাজির করা হয়, তখন তার গায়ে চাদর ছিল। ফলে তার হাতকড়া লাগানো ছিল কি না, তা দেখা যায়নি। আসামিদের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে ছিলেন এপিএসআই সেলিম মিয়া ও কনস্টেবল মাজহারুল ইসলাম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী মুন্না হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা ছিল। এ মামলার ৬ আসামির মধ্যে বাদশা মিয়া ও লাল মিয়া কারাগারে ছিলেন। এদিন তাদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। মামলার শুনানির আগে ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দা মিনহাজ উম মুনীরার আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এদিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ না হওয়ায় তাদের আদালত ভবনের ৫ তলার এজলাস থেকে নামিয়ে হাজতখানায় নিয়ে আসতে থাকে কর্তব্যরত পুলিশ। কিন্তু আদালতের তৃতীয় তলায় আসার পর হঠাৎ বাদশা মিয়া এক পুলিশ কনস্টেবলের হাত থেকে কৌশলে ছুটে চলে যায়।এ বিষয়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আনোয়ারুল কবির বাবুল সমকালকে বলেছেন, ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিকে যেভাবে আদালতে নেওয়ার কথা, সেভাবে না নিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ দায়িত্বে অবহেলার পরিচয় দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন